তৃণমূল হলো আ.লীগের হৃদয়ের স্পন্দন : শামীম ওসমান

ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে কর্মীদের প্রস্তত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। তিনি বলেছেন, দেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের ভরসারস্থল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মারার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জেও নানা ধরনের খেলা হবে। নারায়ণগঞ্জ অনেকের প্রধান টার্গেট। আপনাদের কাছে অনুরোধ, এ জায়গাগুলোকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনার সজাগ থাকুন, আপনাদের নিয়েই আমরা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবো।
বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) রাতে শহরের ইসদাইরে নারায়ণগঞ্জ ওসমানী স্টেডিয়ামে দলের কয়েক হাজার তৃণমূল নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শামীম ওসমান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, শহর-বন্দর ও সোনারগাঁয়ের প্রায় ৬ হাজার তৃণমূল নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে ভুঁড়িভোজ করানো হয়।
উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা শামীম ওসমানের এই আয়োজনে ব্যাপক উৎসাহিত হয়েছেন। তারা বলেছেন, নেত্রী যেমন তৃণমূলকে সম্মানিত করেন, তেমনি শামীম ওসমানের এই উদ্যোগ দেশের সব আওয়ামী লীগ নেতা, এমপি-মন্ত্রীদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে।
এ সময় শামীম ওসমান বলেন, ‘আজকের এ আয়োজন আমাদের কর্মীদের জন্য। উদ্দেশ্য তাদের সম্মানিত করা। তৃণমূল হলো আওয়ামী লীগের হৃদয়ের স্পন্দন। হৃদয়ের স্পন্দন থেমে গেলে যেমন জীবন থেমে যায়, তেমনি তৃণমূল থেমে গেলে দলও থেমে যাবে। আগামী ২৩ তারিখ জেলা ও ২৫ তারিখ মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। ইতোমধ্যে আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের বলেছি ত্যাগীদের মূল্যায়ন করুন। মাথা থেকে পা পর্যন্ত যারা আওয়ামী লীগার তাদের মূল্যায়ন করুন। মূল্যায়ন মানে শুধুই পদ-পদবী বা টাকা নয়, সম্মান দিতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে কর্মীদের মূল্যায়ন করেন, পছন্দ করেন, ভালোবাসেন সেটা তিনি বার-বার উদাহরণ দেখিয়েছেন। তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ চন্দন শীল। তার দুই পা নেই, বোমা হামলায় পঙ্গু হয়েছেন। শেখ হাসিনা তাকেই জেলা পরিষদের মনোনয়ন দিয়েছেন। এই মনোনয়ন তৃণমূলের সব ত্যাগী নেতাকর্মীদের মনোনয়ন।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার কন্যা শুধু আওয়ামী লীগের সম্পদ নন, তিনি আমার সন্তান, আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, আগামীকাল আমি থাকব কি না জানি না। ছেলেটা অসুস্থ। জাতির পিতার কন্যা বলেছেন, আগামী ১০ তারিখ আমার বড় ভাই নাসিম ওসমানের নামে সেতু উদ্বোধন করবেন। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের নাম দিয়েছেন আমার মায়ের নামে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন আমার বাবা ও দাদা। এমন খুব কম পরিবার আছে, যেখানে বাবা-ছেলে একসঙ্গে প্রতিষ্ঠাতা। বঙ্গবন্ধুকন্যা আমার মাকে অনেক ভালোবাসতেন। ভাষা আন্দোলনের সময় আমার মা ভূমিকা রেখেছিলেন।
বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, এ দেশের হাতেগোনা রাজাকার ছাড়া আমরা সবাই কিন্তু সৈনিক। আমাদের নেত্রী বারবার বলছেন, সারা পৃথিবীর নেতারা মনে করছে দুর্ভিক্ষ হতে পারে। আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন এক ইঞ্চি জমিও যেন আমরা ফেলে না রাখি। কয়েকদিন আগে বিদ্যুতের গ্রিড ফেল করল। আমরা কত বিরক্ত হচ্ছিলাম। অথচ ৮-১০ বছর আগে আমরা প্রতিদিনই এমন ভোগান্তির শিকার হতাম।
এ সময় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসপি