আইনমন্ত্রীর সামনে সংঘর্ষ: মামলায় আসামি আড়াই শতাধিক

অবশেষে আইনমন্ত্রী আনিসুলের হকের উপস্থিতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুই মেয়র প্রার্থীর সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার (৬ মার্চ) রাতে কসবা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি করেন। মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও আড়াইশ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে রোববার (৭ মার্চ) ভোরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- হৃদয় খান (২২), মো. কাইয়ূম (২২), মো. রাসেল (৩০), মো. রবিন (২৫), সালাউদ্দিন (২৭) ও রবিউল্লাহ (৩২)। এদের মধ্যে রবিউল্লহর বাড়ি কসবা উপজেলার নোয়াপাড়া ও বাকিদের বাড়ি তেতৈয়া গ্রামে।
কসবা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, শনিবার রাত ১২টার পর মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে নথিভুক্ত করা হয়। ইতোমধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ৬ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কসবা উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এদিন স্মার্টকার্ড বিতরণের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবায় আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
দীর্ঘদিন পর মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে তাকে স্বাগত জানাতে কর্মী-সমর্থকদের মিছিল নিয়ে কসবা উপজেলা পরিষদে যান কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম এ আজিজ। তারা দুজনই আসন্ন কসবা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
বেলা ১১টায় দুই মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেওয়ার সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষ থেমে গেলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরবর্তীতে মন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা আবারও সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় কসবা উপজেলা পরিষদের সামনের সড়ক।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। এ ছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগও করে সংঘর্ষকারীরা। পরবর্তীতে মন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে অনুষ্ঠান শেষ না করেই পুলিশি প্রহরায় অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
আজিজুল সঞ্চয়/এসপি