কাদের ভাই যতদিন আছেন, ততদিন কেউ পশমও ছিঁড়তে পারবে না

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে আবারও সবার সামনে পাগল বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।
কাদের মির্জাকে ইঙ্গিত করে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, কোম্পানীগঞ্জে একটা পাগল হইছে। সারাদিন উল্টাপাল্টা কথা বলে বেড়ায়।
রোববার (০৭ মার্চ) বিকেল ৪টায় জেলা শহরের সোনাপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত পৌর আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং কাদের ভাইয়ের (সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের) কাছে আমি নোয়াখালী পৌরসভায় নতুন নেতৃত্ব চাই; মেয়র হিসেবে নতুন কাউকে চাই। আমি ওই নেতৃত্ব চাই, যারা প্রতি মুহূর্তে নেতাকর্মীদের বুকে আগলে রাখতে পারবেন। ১০০ টাকা ২০০ টাকার জন্য পাগল হবেন না। কোন কাউন্সিলর নেতাকর্মীদের কাজে আসবে, তাদের নেতৃত্ব চাই।
একরামুল করিম চৌধুরী, সংসদ সদস্য
তিনি বলেন, আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন। কিন্তু আমি হারামের টাকা ধরি নাই। আমি যদি একটা বেলা বিস্কুট খাই, আমার কর্মীরাও যেন একটা বেলা বিস্কুট পায়, সেদিকে খেয়াল রাখি। যারা সামনের দিনে কাউন্সিলর হবেন, তাদের অবশ্যই কর্মীদের পেটের দিকে তাকাতে হবে।
নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেলকে উদ্দেশ্যে করে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, একটি এনজিও দিয়ে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন আপনি। এখন কর্মীদের খবর রাখেন না। কর্মীদের খবর না রাখলে আপনার খবরও রাখবে না; এটাই বাস্তবতা।
তিনি বলেন, আমাকে নোয়াখালী থেকে সরাতে চায় তারা। আমার নেতা ওবায়দুল কাদের ভাই যতদিন আছেন, ততদিন আমার একটা পশমও কেউ ছিঁড়তে পারবে না। কাদের ভাই শুধু আমার নেতা নন, তিনি বাংলাদেশের নেতা। আমরা তার নেতৃত্বে নোয়াখালীর উন্নয়ন শিখরে নিয়ে যাব। আমাকে সবাই নগদ চৌধুরী বলেন, আমি যা বলি তাই করি। কোনো কিছু বাকি নেই।
একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, সূবর্ণচরে স্পেশাল ইকোনমিক জোনের জন্য তিন হাজার একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। ইকোনমিক জোন হলে ১০ লাখ লোকের চাকরির ব্যবস্থা হবে।
নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সামছুউদ্দিন জেহান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভুট্ট ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমান।
হাসিব আল আমিন/এএম