কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে নিজের জমির ধান কাটালেন ইউপি সদস্য

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে নিজের জমির ধান কাটানোর অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার (৩০ নভেম্বর) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার সলঙ্গা থানার ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান জুয়েল রানা শ্রমিকদের দিয়ে তার নিজ জমির ধান কাটিয়েছেন। তবে প্রকল্প এলাকা কাদাযুক্ত থাকায় শ্রমিকদের দিয়ে নিজের জমির ধান কাটিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘুড়কা ইউনিয়নের বাসুদেবকোল ব্রিজ থেকে মকবুলের বাড়ি পর্যন্ত কর্মসৃজন কর্মসূচির রাস্তা মেরামতের একটি প্রকল্প রয়েছে। ওই প্রকল্পে ১৫ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী শ্রমিক মিলে ২৭ জনের কাজ করার কথা। কিন্তু সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রকল্প এলাকায় কোনো শ্রমিককে দেখা যায়নি। ওই শ্রমিকরা একই এলাকায় ইউপি সদস্য জুয়েলের জমিতে ধান কাটছিলেন।
শ্রমিকরা বলেন, মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে প্রকল্প এলাকায় কাজ শেষে তাদের বাড়ি থেকে কাঁচি আনতে বলেন ইউপি সদস্য। কাঁচি নিয়ে বুধবার সকালে এলে তিনি আমাদের তার জমিতে ধান কাটতে বলেন। যেহেতু আমরা তার অধীনে তাই আমরা ধান কেটেছি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জুয়েল রানা বলেন, প্রকল্প এলাকায় কাদা থাকায় সেখানে কাজ করা যাচ্ছে না। তাই শ্রমিকদের দিয়ে ধান কাটিয়েছি।

এ বিষয়ে ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর সরকার বলেন, আমি শ্রমিকদেরকে আজ ডেকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করেছিলাম। কিন্তু তারা অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে আমরা ওখান থেকে মাটি নেওয়ার জন্য ধান সরিয়ে রেখেছিলাম। তবে ইউপি সদস্য বগুড়ায় থাকায় তার সঙ্গে কথা বলতে পারিনি।
তিনি বলেন, আমি কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেই না। বিষয়টি তদন্ত করে যদি ঘটনার সত্যতা পাই তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।
রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) গোলাম রব্বানি জানান, কারো জমিতে ধান কাটার জন্য কোনো শ্রমিক দেওয়া হয়নি। এমন কাজ করালে সব শ্রমিককে হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত দেখানো হবে। তারা ওই দিনের কোনো টাকা পাবেন না।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৃপ্তি কণা মন্ডল বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুভ কুমার ঘোষ/আরএআর