বিয়ে বাড়ির বেঁচে যাওয়া খাবারে ছিন্নমূল-ভাসমানদের ভোজন

বিয়ে বাড়ির বেঁচে যাওয়া খাবারে ভোজন করলেন নোয়াখালীর চৌমুহনী রেলস্টেশনের ছিন্নমূল-ভাসমান মানুষ। রোববার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে স্টেশনের ভাসমানদের মাঝে এসব খাবার বিতরণ করেন অনলাইন ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন নোয়াখালী সাইবার ওয়ারিয়র্স।
রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা শহর মাইজদীর এক স্কুল শিক্ষিকার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ মানুষের জন্য খাওয়ার আয়োজন করা হয়। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে অনেক খাবার বেঁচে যায়। খাবারগুলো অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য ওই শিক্ষিকা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নোয়াখালী সাইবার ওয়ারিয়র্সকে দায়িত্ব দেন। বিকেলে ওই সংগঠনের সহায়তায় চৌমুহনী রেলওয়ে স্টেশনে ভাসমান ও ছিন্নমূল প্রায় ১০০ জন অসহায় মানুষের মুখে সেই খাওয়ার তুলে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই স্কুল শিক্ষিকা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বাড়ির আশপাশের অসহায় মানুষের মধ্যে আমি খাবার বিতরণ করেছি। আমার মনে হলো রেলস্টেশনে অনেক ভাসমান ছিন্নমূল ভবঘুরে মানুষ আছে তাদের মধ্যে বিতরণ হলে খুব ভালো হতো। যেহেতু আমার আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে তাই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে খাবারগুলো বিতরণ করি। যার তৃপ্তি কোনো ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
সামাজিক সংগঠন 'আমরা গোলাপ' এর প্রতিষ্ঠাতা শাহেদ মুনিম ফয়সাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, চৌমুহনী রেলস্টেশনে অনেক ভাসমান ও ছিন্নমূল ভবঘুরে মানুষ রয়েছে যাদের খোঁজ আমরা রাখি না। শীতে খেয়ে না খেয়ে তারা দিন পার করছে। আজ যেন তারা মজা করে বিয়ের দাওয়াত খাচ্ছে। তাদের মাঝে খাবার বিতরণে সঙ্গে থাকতে পেরে আমার ভালো লাগছে।
নোয়াখালী সাইবার ওয়ারিয়র্সের সভাপতি সাইদুর রহমান রায়হান ঢাকা পোস্টকে বলেন, অবশিষ্ট খাবার আছে জানতে পেরে কিছু সদস্য নিয়ে খাবারসহ অধ্যক্ষের চিন্তাকে বাস্তবে রুপ দিতে চৌমুহনী রেলস্টেশনে ছুটে যাই। অসহায় মানুষদের মুখে তুলে দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। তারাও একবেলা ভালো খেতে পেরে খুশি হয়েছে।
হাসিব আল আমিন/আরকে