হাসপাতালের ওয়ার্ডে বিক্রি হচ্ছে খোলা খাবার

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বারান্দার দুই ধারে সারি সারি শুয়ে আছে রোগী। এরই মাঝে ভাঙা নারকেল বিক্রি করছেন এক ফেরিওয়ালা। নারকেলের খোলা ট্রে হাতে ‘এই নারকেল, নারকেল’ বলে চলছে তার ব্যবসায়ী প্রচারণা।
এভাবেই হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ১০ টাকা করে খোলা নারকেলের অংশ। যা রোগী ও হাসপাতালে থাকা স্বজনেরাও কিনছেন বেশ সাচ্ছন্দ্যে। আর পাশে হাসপাতাল বেডে শুয়ে আছে বিভিন্ন সংক্রমণ রোগে আক্রান্ত রোগী।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এমনি দৃশ্য দেখা যায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের পাঁচ তলার মেডিসিন বিভাগে। ঠাকুরগাঁওয়ের ৫ উপজেলার চিকিৎসার জন্য একমাত্র ভরসা এই হাসপাতাল। কাছে গিয়ে পরিচয় ও ছবি তুলতে গেলেই দ্রুত হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান ফেরিওয়ালা।

হাসপাতালের বাতাসে ছড়িয়ে থাকা রোগ-জীবাণুতে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে প্রতিনিয়ত। তবে এসব কিছুর তোয়াক্কা না করে হাসপাতালের ভেতরে বিক্রি হচ্ছে খোলা খাবার। এই খোলা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ইফতেখায়রুল ইসলাম সজীব ঢাকা পোস্টকে বলেন, খোলা খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। আর হাসপাতালের ভেতরে খাওয়া আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এতে করে পেটে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর হাসপাতালে এমনি নানা রোগী নানা অসুবিধা নিয়ে আসেন। খোলা খাবার খেলে রোগী ও তার সঙ্গে থাকা স্বজনরাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফিরোজ জামান জুয়েল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভেতরে যাতে করে কেউ খাবার বিক্রি করতে না পারে সেজন্য গার্ড রাখা হয়েছে। তাদের অগোচরে হয়তো প্রবেশ করেছে। বিক্রেতাদের অনেকবার বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টিতে আরও সচেতন হব। তবে যারা কিনছেন তাদেরও সচেতন হওয়া জরুরি।
এম এ সামাদ/আরকে