আ.লীগের শান্তি সভায় ছাত্রলীগের সংঘর্ষ  

Dhaka Post Desk

জেলা প্রতিনিধি

বরগুনা

১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:১৮ এএম


আ.লীগের শান্তি সভায় ছাত্রলীগের সংঘর্ষ  

বরগুনায় আওয়ামী লীগের শান্তি সভা কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদকসহ ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার গৌরীচন্না কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ২৪ জুলাই বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ওই কমিটি ঘোষণার পর থেকে পদবঞ্চিত একটি গ্রুপ ও বর্তমান কমিটির সভাপতি সম্পাদক দু’গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। শনিবার গৌরীচন্না ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজিত শান্তি সমাবেশে পদবঞ্চিত গ্রুপ সন্ধ্যা ৬টার দিকে যোগ দেয়। 

এর কিছুক্ষণ পর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদকসহ নেতাকর্মীরা ওই শান্তি সমাবেশে যাওয়ার পথে সবুজ মোল্লার গ্রুপ তাদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে দু’গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরানসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ পাহারা ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক শান্তি সমাবেশে যাওয়ার পথে আমার দোকানের সামনে এলে ছাত্রলীগের আরেক গ্রুপ হামলা চালায়। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারি আমার দোকানে আশ্রয় নেয়। তখন শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করার জন্য দোকানের মধ্যে ঢুকে পড়েন। আমার দোকানের মালামাল ও ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে পদ বঞ্চিত ছাত্র নেতা বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি সবুজ মোল্লা বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক ছাত্রদলের সদস্যদের নিয়ে চলাফেরা করেন। তাই ছাত্রদলের সদস্যদের আমরা প্রতিহত করেছি।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা বলেন, গৌরীচন্না ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজিত শান্তি সমাবেশে যোগ দেওয়ার পথে একটা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাথে আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।

বরগুনার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহমেদ বলেন, জেলা ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককে উদ্ধার করি। এখন পর্যন্ত কোনো গ্রুপ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

খান নাঈম/ওএফ

Link copied