আধিপত্য বিস্তারে কুষ্টিয়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৪

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সীমান্ত সংলগ্ন বিলগাথুয়া ঈদগাহ মাঠ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এসময় মাদক ব্যবসায়ী আকিদুল ও সেন্টু পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আহতরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ও দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর।
আহতরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের বিলগাথুয়া গ্রামের বাবলু মন্ডলের ছেলে রাজিব (২০), একই এলাকার নূর হোসেনের ছেলে মঞ্জু (৩৫), মিলন ও কাবের আলী। তারা মাদক ব্যবসায়ী সেন্টুর লোকজন।
আহতদের স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিলগাথুয়া সীমান্তের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সেন্টু তার লোকজন নিয়ে স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে অবস্থান করছিল। এসময় মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে সীমান্তের অপর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আকিদুলের নেতৃত্ব লালন, সান্টু, ঝন্টু ও মিন্টুসহ ১০-১২ জন সশস্ত্র অবস্থায় ঈদগাহ মাঠে সেন্টুর লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে একে অপরকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মাদক ব্যবসায়ী সেন্টু পক্ষের রাজিব, মঞ্জু, মিলন ও কাবের আহত হয়।
খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে দৌলতপুর ও কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে রাজিব ও মঞ্জুর অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
প্রাগপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মুকুল বলেন, বিলগাথুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির ভোট, আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা ও পূর্ব শত্রুতার জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে বিলগাথুয়া গ্রামে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সংঘর্ষের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
রাজু আহমেদ/টিএম