খুলনায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার বই বিক্রি

খুলনায় মাসব্যাপী একুশে বইমেলার ৮২টি স্টলে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে। গত বই মেলায় প্রায় এক কোটি ২৬ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছিল। একইসঙ্গে মাসব্যাপী এই বইমেলায় ৩৪টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলার সমাপনী দিনে মেলা আয়োজক কমিটি এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিন বিকেলে বয়রাস্থ বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে বইমেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, জ্ঞান অর্জন করতে হলে বই পড়তে হবে। মন দিয়ে বই পড়লে জ্ঞানী হওয়া যায়। বই আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। বই প্রজ্ঞাবান মানুষের জীবনে অন্যতম অনুষঙ্গ। বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে বলেই এ বছর মেলায় বেশি বই বিক্রি হয়েছে। তিনি নতুন প্রজন্মকে বেশি করে বই পড়ায় উৎসাহ দিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, বাঙালির আত্মপরিচয় সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। একুশ আমাদের অহংকার, একুশ আমাদের চেতনা। একুশের হাত ধরেই সকল আন্দোলনের সূচনা। যে কোনো সমাজ গড়ে ওঠার পেছনে ভাষার অবদান গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শ্রেষ্ঠ স্টল ক্যাটাগরিতে তিনটি স্টল প্রতিনিধিদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল, কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ইউসুপ আলী। আলোচক ছিলেন সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবির, সরদার মাহাবুবার রহমান এবং খুলনা পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. আলমগীর বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ হামিদুর রহমান। বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহযোগিতায় খুলনা জেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মোহাম্মদ মিলন/এমএএস