আন্দোলনে বন্ধ হয়ে গেল করোনা ঠেকাতে শুরু হওয়া কাঁচাবাজার

খুচরা ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের মুখে বন্ধ হয়ে গেল করোনার প্রকোপ ঠেকাতে বগুড়ায় শুরু হওয়া অস্থায়ী কাঁচাবাজার। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে ব্যবসায়ীরা পুরোনো বাজারে বেচাকেনা শুরু করেছেন।
এর আগে বিকেল ৩টা থেকে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে একই দাবিতে অবস্থান নেন শহরের প্রধান বাজারগুলোর প্রায় পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী।
ব্যবসায়ীদের দাবি, অস্থায়ী বাজার বন্ধ করে আগের স্থানে যেতে চান। এরই প্রেক্ষিতে বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহ উদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে জরুরি সভা হয়।
সভায় অংশ নেন- জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ, চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি এনামুল হক দুলাল, রাজা বাজারের আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ, ফতেহ আলী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাফিজার রহমান, চাষি বাজার মৎস্য সমিতির সভাপতি দীপক দাস ও রেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান। সভায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে অস্থায়ী বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, অস্থায়ী বাজার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরা আগের স্থানে ব্যবসা করতে পারবেন। তবে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
রাজা বাজার আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল অস্থায়ী বাজার বন্ধ করা। কারণ খুচরা সব পণ্য অস্থায়ী বাজারে ক্রেতাদের কেনার সুযোগ ছিল না। তাই ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ায় খুচরা ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে খোলা জায়গায় শীতের মধ্যে দোকান নিয়ে বেচাকেনা করা ব্যবসায়ীদের জন্য কষ্টকর। এজন্য ব্যবসায়ীদের দাবি জেলা প্রশাসন মেনে নিয়ে আগের স্থানে বাজার বসার অনুমতি দিয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে ব্যবসা করতে হবে।
বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি এনামুল হক দুলাল বলেন, প্রতিটি বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীরা সামাজিক দূরত্ব মেনে বসবেন। বাজারের ব্যবসায়ীরা ভাগ হয়ে একদিন পর পর খুচরা ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ পাবেন। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পর্যবেক্ষণ করবে বাজার সমিতি।
১৮ ডিসেম্বর বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে জেলা প্রশাসনের আদেশে দ্বিতীয় বারের মতো কাঁচাবাজার বসানো হয়। অস্থায়ী বাজারে শহরের রাজা বাজার, ফতেহ আলী বাজার, রেল বাজার, মাংস বাজার, মাছ বাজার, চাষি বাজারের ব্যবসায়ীরা বসতে শুরু করেন। তবে শনিবার থেকে বাজারে ক্রেতা কমে যায়। সোম ও মঙ্গলবার ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে বাজার।
ব্যবসায়ীরা জানান, শাকসবজি, মাছ-মাংস ছাড়াও আরও অনেক কিছুর প্রয়োজন হয় মানুষের। যা অস্থায়ী বাজারে নেই। তাই ক্রেতারা যেখানে সবকিছু হাতের নাগালে পাচ্ছেন সেখানেই যাচ্ছেন। তাই ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে অস্থায়ী বাজার। এজন্য আগের জায়গায় বাজার বসাতে চান ব্যবসায়ীরা।
এএম