নিজ বাড়িতে তালাবদ্ধ ২৪ জন, ৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার শিলই গ্রামে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাংচুর করে ২৪ জনকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ ৭ ঘণ্টা পর উপস্থিত হয়ে তাদের উদ্ধার করেছে।
জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই গ্রামের শাহাদাত হোসেন বেপারী, তার ছেলে ও বেয়াইসহ ২৪ জনকে অবরুদ্ধ করে রাখে একই গ্রামের শিলই ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ইসমাইল ও তার সমর্থকরা। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় তাদের। এ সময় পানি ও হালকা খাবার দিয়ে ইফতার করেন তারা।
খবর পেয়ে বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে শাহাদাত বেপারীর স্ত্রী শাহনাজ বেগম তাদের রুমের তালা খুলে দিতে বলেন। এ সময় সদর থানার এস আই ফরিদুজ্জামান তালা খুলে না দিয়ে বলেন, বড় স্যার এলে তালা খুলে দেওয়া হবে। পরে রাত সোয়া ১০টার দিকে সদর থানার ওসি ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে তাদের ঘর থেকে বের করেন।
এ বিষয়ে সদর থানার এস আই ফরিদুজ্জামান বলেন, আমরা ৫টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেই তাদেরকে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই। তিনি আরও বলেন, সিনিয়র স্যারদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
শাহাদাত বেপারীর স্ত্রী শাহনাজ বেগম বলেন, সাবেক ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার ইসমাইল হোসেন বেপারী ও গনি বেপারী গংদের সঙ্গে আগে থেকেই ঝগড়া ছিল। সেই ঝামেলার সমাধান করতে মুন্সীগঞ্জ সার্কেল এসপির সঙ্গে কথা বলেই নিজ গ্রামে আসি পরিবার ও স্বজনদের সাথে ইফতার করতে। বিকেল ৩টার পর সাবেক মেম্বার ইসমাইল বেপারীর নেতৃত্বে তার তিন ছেলে জয় বেপারী, ইসহাক বেপারী, ইমরান বেপারী ও গনি বেপারীর দুই ছেলে সোহেল বেপারী, শামীম বেপারী ও শ্যামলসহ ১৫ থেকে ২০ জন ককটেল বিস্ফোরণ করে বাড়িঘর ভাংচুর করে।
পরে আমার ছেলে, স্বামী, বেয়াই ও ছেলের বন্ধুরা ভয়ে একটি ঘরে ভেতরে ঢুকিয়ে দেই। পরে প্রতিপক্ষের লোকজন দরজা না ভাঙতে পেরে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। যাওয়ার সময় আলমারি ভেঙে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এই প্রসঙ্গে সাবেক মেম্বার ইসমাইল হোসেন বেপারী বলেন, তারা ইফতার নামে বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে আমাদের ওপরে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় এলাকার কয়েকজন তাদের বাড়িতে গিয়ে সকলকে তালাবদ্ধ করে রাখেন।
এ বিষয়ে শিলই ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ মৃধা বনেন, আমি ঘটনাস্থল রয়েছি। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাদের তালা খুলে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ থানার ওসি তারেকুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০-২৫ জন ঘরের ভেতরে বসেছিলেন। কিসের জন্য বসেছিলেন সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তাদের কেউ অবরুদ্ধ করে রাখেনি।
ব.ম শামীম/ওএফ