ঘুমন্ত স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্ত্রীর যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুরে ঝগড়ার পর ঘুমন্ত আলী মোহনকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে তার স্ত্রী দিলু বেগমের (৩৯) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, আসামি দিলুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এতে বিচারক তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি পলাতক রয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত দিলু ফেনীর চন্ডিপুর গ্রামের আবদুল খালেকের মেয়ে।
ভিকটিম মোহন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের কালিদাসেরবাগ গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মোহন কাজের সুবাধে ফেনীতে থাকতেন। তিনি নেশা করতেন। এ নিয়ে স্ত্রী দিলুর সঙ্গে তার ঝগড়া হতো। ঘটনার দিন ২০১১ সালের ৩০ মার্চ রাতে তিনি ফেনী থেকে লক্ষ্মীপুরের বাড়িতে আসেন। ওই রাতে মোহন ও তার স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে পাঁচ বছরের মেয়ে তিশাকে নিয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে দিলু গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে ঘুমন্ত মোহনকে হত্যা করেন। ঘটনার রাতে মোহনের মা জাহানারা বেগম বাড়িতে ছিলেন না। রাত ১টার দিকে মোবাইলফোনে তিনি ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পান। মরদেহের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন ছিল। পর দিন ৩১ মার্চ নিহতের মা বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। তখন ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল জলিল আদালতে দিলুকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ মামলার রায় দেন।
হাসান মাহমুদ শাকিল/আরএআর