গজারিয়ায় অবাধে চলছে পাখি শিকার

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চলনবিলে নির্বিচারে পাখি নিধন চলছে। পাখি শিকারিরা বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে এসব পাখি শিকার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নির্বিচারে পাখি নিধনে একদিকে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে, অপরদিকে ফসলি জমিতে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণও বাড়ছে।
জানাগেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন জুড়ে বিস্তৃত চলনবিল ঘিরে ছোট-বড় আরো বিল রয়েছে। ওই নিম্ন জলাভূমিতে শুকনো মৌসুমে পানি কমে যাওয়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে দেশি ও অতিথি পাখি আসছে।
ভবরেচর ইউনিয়নের আলীপুরা গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, অল্প পানিতে খাবার সংগ্রহের জন্য এ বছরও চলনবিলে দেশি ও অতিথি পাখি এসেছে। সেই সঙ্গে প্রচুর মাছও দেখা যাচ্ছে। ফলে ঝাঁকে ঝাঁকে চখাচখি, পানকৌড়ি, বক, ঘুঘুসহ বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি বসতে শুরু করেছে। এ সুযোগে বিভিন্ন ধরনের পাখি শিকারি ফাঁদ পেতে প্রতিনিয়ত পাখি শিকার করছে। প্রকাশ্যে এসব পাখি বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক পাখি শিকারি জানান, গ্রামে মানুষের কাছে পাখির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই কোনওভাবে পাখি ধরতে পারলে বিক্রি করতে সমস্যা হয় না। জোড়াপ্রতি পাখি প্রজাতিভেদে ১৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। ফলে বেশি টাকার আশায় অনেকেই মাছ ধরা বাদ দিয়ে পাখি শিকার করছেন।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়- আলীপুরা, নয়াকান্দী, বালুয়াকান্দিসহ প্রত্যন্ত এলাকায় সবচেয়ে বেশি পাখি কেনাবেচা হচ্ছে। ফলে এই এলাকাতে শিকারিদের আনাগোনাও বেশি। এসব দুর্গম এলাকায় প্রশাসনের লোকজনও তেমন আসেন না।
ভবেরচর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান জুয়েল সরকার এ প্রসঙ্গে বলেন, পাখি শিকার জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর ও দণ্ডনীয় অপরাধ। শুধু পাখি নয় বন্যপ্রাণী রক্ষায় নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। তা না হলে আগামী প্রজন্মকে কাগজে কলমে বন্যপ্রাণীর নাম জানতে হবে।
ওএফ