খুলনা দিবস আজ

আজ খুলনা জেলার ১৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ঢাকা ও চট্টগ্রামের পরে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর শিল্প ও বন্দরনগরী ঐতিহ্যবাহী খুলনা। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রূপসা ও ভৈরব নদীর তীরে এর অবস্থান। নদ-নদী বিধৌত হযরত খানজাহান আলীর (রহ.) স্মৃতি বিজড়িত শহর, সুন্দরবনের কোল ঘেঁষা অপরূপ এ জেলাটি লম্বা আকৃতির ও চৌকা ধরনের। দেশের প্রাচীনতম নদী বন্দরগুলোর মধ্যে খুলনা অন্যতম।
১৮৪২ সালে ভৈরব-রূপসা বিধৌত পুণ্যভূমি নয়াবাদ থানা ও কিসমত খুলনাকে কেন্দ্র করে নতুন জেলার সদর দপ্তর স্থাপিত হয় খুলনায়। খুলনা মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ব্রিটিশদের প্রশাসনিক এলাকা বৃদ্ধি এবং ভৌগলিক অবস্থার কারণে খুলনা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মাত্র ৪০ বছরের ব্যবধানে ৪ হাজার ৬৩০ বর্গমাইল এলাকা খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরাকে নিয়ে ১৮৮২ সালের ২৫ এপ্রিল গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আগে খুলনা ছিল যশোর জেলার মহকুমা। খুলনার অতীত ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে অতীত ও বর্তমানের সমন্বয়ের মাধ্যমে আগামী খুলনার সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে ২০০৯ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দিনে খুলনা দিবস পালিত হয়।
সম্প্রতি দিবসটি পালনের জন্য বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ৯টায় খুলনা দিবসের কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে নগরীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, স্মরণিকা প্রকাশসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান।
এদিকে খুলনা দিবসের কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে সোমবার (২৪ এপ্রিল) বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির এক প্রস্তুতি সভা সংগঠনের সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস থেকে জানা যায়, খুলনা নামকরণের উৎপত্তি নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত মত হচ্ছে- ধনপতি সওদাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী খুলনার নামে নির্মিত ‘খুলনেশ্বরী মন্দির’ থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি।
১৭৬৬ সালে ‘ফলমাউথ’ জাহাজের নাবিকদের উদ্ধার করা রেকর্ডে লিখিত ‘Culnea’ শব্দ থেকে খুলনার উৎপত্তি। বিজ্ঞজনের মতে ‘কিসমত খুলনা’ মৌজা থেকে খুলনা নামের উৎপত্তি হয়েছে। ব্রিটিশ আমলের মানচিত্রে লিখিত Jessore-Culna শব্দ থেকে খুলনা এসেছে বলেও অনেকের ধারণা।
মোহাম্মদ মিলন/এমএ