ঠাকুরগাঁওয়ের ৬ গ্রামে সবজি চাষে বিপ্লব
গত কয়েক বছর ধরে লাভের মুখ দেখায় সবজি চাষে ঝুঁকেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা। এর মধ্যে সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের ৬টি গ্রামে সবজি চাষ করে বিপ্লব ঘটিয়েছেন কৃষকরা। এখানকার উৎপাদিত সবজি বিক্রি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
সরেজমিনে সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের মিলনপুর, খামার, চখহলদি, সিংপাড়া ও মাঝদিসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, ধন্দুল ও কাঁকরোলসহ নানা ধরনের সবজি চাষ করছেন চাষিরা। উৎপাদিত এসব সবজি বিক্রি করছেন ওই ইউনিয়নের বাগেরহাট আড়তে। আড়তে বিক্রির ফলে উৎপাদিত সবজির দাম ভালো পাচ্ছেন তারা। অন্যদিকে আড়তে ১০০ থেকে ১৫০ জন মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তবে সার ও ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় একদিকে যেমন দুশ্চিন্তা অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত ফলন না পেয়ে হতাশ তারা।
কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আড়তে সবজি বিক্রি করতে আসছি। তবে সবজির দাম খুব কম। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফলনও কম হয়েছে। ৮০০ টাকার সার ১ হাজার ৬০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এতে সবজিতে লাভ তো দূরের কথা, আসল টাকাই উঠছে না। সবজির বিভিন্ন প্রকারের রোগের প্রাদুর্ভারের পাশাপাশি সবজির দাম কম হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেক কৃষক। এ কৃষকের দাবি, তিন বিঘা জমিতে সবজি চাষে ১ লাখ ৩ হাজার টাকা খরচ হলেও আসল টাকাই উঠবে না তার।
বাগেরহাট বাজারের আড়তদার আব্দুল জলিল বলেন, এ বাজারে আশে পাশের ৬ গ্রামের কৃষক তাদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করতে আসেন। কৃষকের এ সবজি আমরা কিনে নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাই। প্রতিদিন এখানে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার সবজির কেনাবেচা হয়। এতে বেশ লাভের মুখ দেখছেন এলাকার কৃষকরা। এছাড়া আড়তে শতাধিক শ্রমিক কাজ করে তাদের সংসার চালাচ্ছেন।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার জমি অনেক উচু এবং উর্বর, তার পাশাপাশি কৃষক যারা রয়েছেন তারা নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে ব্যাপক উৎপাদন করছেন। এর ফলে ঠাকুরগাঁওয়ে সবজির বিপ্লব ঘটেছে।
এবিএস