ছিনতাইকারীকে জাপটে ধরে নারীর চিৎকার, অতঃপর...
গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন রোকসানা বেগম ও আরেক নারী যাত্রী। পথে ছিনতাইকারী চক্রের খপ্পরে পড়েন তারা। তবে ছিনতাইয়ের সময় চক্রের এক নারী সদস্যকে জাপটে ধরে চিৎকার করে এ যাত্রায় বেঁচে যান তারা।
ভুক্তভোগী দুই নারীর মধ্যে রোকসানা বেগমের বাড়ি নান্দাইলের চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ঘোষপালা গ্রামে এবং সামিরা বেগম নামের আরেকজনের বাড়ি একই উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নে। সোমবার (২২ মে) সকালে নান্দাইল পৌর সদরের কাছারি মসজিদের সামনে উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের প্রবেশপথে ওই ঘটনা ঘটে।
রোকসানা বেগম জানান, রোববারে নান্দাইল সদরের একটি বইয়ের দোকান থেকে মেয়ের জন্য দুটি বই কেনেন তিনি। সোমবার সকালে একটি বই পাল্টাতে আবার দোকানে যেতে হয় তাকে। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সাজেদা নামের এক নারী এসে তার সঙ্গে নানান কথা বলে শহরের কাছারি মসজিদের সামনের সড়কে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় সাজেদাকে তুলে নেন তিনি।
এরপর কিছুদূর গিয়ে আরেক যাত্রী গাড়িতে ওঠেন। কিছুক্ষণ পর অটোরিকশাচালক গাড়ির পর্দা ফেলে দেন। অটোরিকশার ভেতরে থাকা একজন পুরুষ ও আরেক নারী তাদের হাত চেপে ধরেন। এরপর তাদের গলার সোনার চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেন।
ভুক্তভোগী রোকসানা বেগম বলেন, পাশে থাকা সামিরা বেগমের কানের দুল যখন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তখন আমি রিকশাচালককে লাথি মেরে ফেলে দেই। এ সময় বাজারের লোকজন দৌঁড়ে এসে অটোরিকশাটি থামায়। ততক্ষণে ছিনতাইকারীরা গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় ছিনতাইকারী দলের এক নারী সদস্যকে আমি জাপটে ধরে আটকিয়ে রাখি। উত্তেজিত জনতা সেই নারীকে চড়থাপ্পড় মারে আর গাড়ির সামনের কাচ ভেঙে ফেলে। পরে পুলিশ এসে নারীকে আটক করে গাড়িসহ থানায় নিয়ে যায়।
নান্দাইল মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, আটককৃত নারীর নাম সাজেদা। তার বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জে। ছিনতাইকারী দলের অন্য সদস্যদের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উবায়দুল হক/আরকে