পরীক্ষার ফি দিতে না পারায় শিক্ষার্থীকে অপমান, ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

Dhaka Post Desk

জেলা প্রতিনিধি, জামালপুর 

০৬ জুন ২০২৩, ০৭:৪৯ এএম


পরীক্ষার ফি দিতে না পারায় শিক্ষার্থীকে অপমান, ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পরীক্ষার ফি দিতে না না পারায় লাবনী আক্তার নামে এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (৫ জুন) সকাল ১২টার দিকে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত লাবনী আক্তার ওই এলাকার মো. লাল মিয়ার মেয়ে। সে রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

লাবনীর পরিবারের অভিযোগ, পরীক্ষার ফি দেওয়ার জন্য স্কুল থেকে চাপ দিচ্ছিল এবং ফি না দেওয়ায় লাবনী আক্তারকে অপমান করেন শিক্ষক।

তবে এ ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যাবে না বলে জানিয়েছে। তাই মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া দফানের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। মৃত শিক্ষার্থী লাবনী আক্তারের ২ হাজার ২শ টাকা পরীক্ষার ফি জমা দেওয়ার কথা ছিল। পরিবার দরিদ্র হওয়ায় সঠিক সময়ে ফি দিতে পারেনি লাবনী। কয়েকদিন পর ফি পরিশোধ করবে এই শর্তে অনুমতি নিয়ে দুটি পরীক্ষাও দেয় সে।

গতকাল পরীক্ষা চলাকালীন ওই ছাত্রীকে ফি দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে সবার মাঝে অপমান করেন এক শিক্ষক। সোমবার সকাল ১০টার দিকে তাকে অন্তত ১১০০ টাকা জমা দিয়ে তারপর বাকি পরীক্ষায় বসতে বলা হয়। বাসায় ফিরে এসময় লাবনী অভিমান করে তার বাবাকে বলে আর পরীক্ষা দিতে হবে না। এ বলে সে তার থাকার ঘরে চলে যায়। পরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে।

রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান বাছেদ বলেন, পরীক্ষার ফিয়ের জন্য কোনো চাপ দেওয়া হয়নি‌। কি জন্য আত্মহত্যা করেছে এই বিষয়টি আমরা জানি না। 

সরিষাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহব্বত কবির বলেন, বিদ্যালয়ে পরীক্ষার ফি পরিবার দিতে না পারায় ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আমাদের কাছে নিহতের পরিবার কোন লিখিত অভিযোগ জানায়নি। ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের আবেদন করলে সেই পরিপ্রেক্ষিতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

রকিব হাসান নয়ন/আরকে 

Link copied