বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যান চলাচলে ধীরগতি
বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে পরপর কয়েকটি পরিবহন বিকল হওয়ায় ধীর গতিতে চলাচল করছে যানবাহন। একদিকে মহাসড়কে পরিবহনের ধীরগতি অন্যদিকে তীব্র গরমে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চলাচলকারীদের।
বুধবার (৭ জুন) ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়কে এলেঙ্গা হতে সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে পরপর কয়েকটি পরিবহন বিকল হওয়ায় ধীর গতিতে চলাচল করে পরিবহন। পরিবহন চলাচলে ধীরগতির কারণে কোথাও কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়।
এদিকে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ ও ধীরগতির কারণে অনেক পরিবহন বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্ত্বর হতে ভুঞাপুর-বঙ্গবন্ধু-এলেঙ্গা আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে ঢাকার দিকে গিয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা হতে সেতুর পূর্ব পর্যন্ত তিনটি পরিবহন বিকল হয়। বিকল হওয়া পরিবহনের মধ্যে ছিল ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস। বিকল হওয়া এসব পরিবহন উদ্ধার করতে সময় লাগায় মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেড়ে যায়।
এদিকে, মহাসড়কে যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশের সদস্যরা কাজ করছেন।
এলেঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহিদ হাসান বলেন, মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে বাস, ট্রাকসহ তিনটি পরিবহন বিকল হয়। যার ফলে বুধবার সকাল থেকে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেড়ে ধীরগতির সৃষ্টি হয়। এতে ঢাকাগামী পরিবহনগুলো ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গায় প্রবেশ করে। পরবর্তীতে বিকল হওয়া পরিবহনগুলো সরিয়ে নেওয়ার পর সকাল ৯টার দিকে যানবাহন চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) সফিকুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মহাসড়কের সল্লা এলাকায় কাঁচামালবাহী একটি ট্রাক দুর্ঘটনার শিকার হয়। সেই ট্রাকের মালামাল আনলোড করতে সময় লেগে যায়। এ সময় দুই লেন সড়কের একপাশ বন্ধ ছিল। এজন্য যানবাহনের চাপ বেড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া অনেক চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণেও যানজটের সৃষ্টি হয়।
অভিজিৎ ঘোষ/এমজেইউ