ঢাবির ‘খ’ ইউনিটে প্রথম বরিশালের অয়ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছেন বরিশাল অমৃত লাল দে কলেজের শিক্ষার্থী অয়ন চক্রবর্তী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৮৪। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জিপিএর ভিত্তিতে প্রাপ্ত নম্বরসহ মোট প্রাপ্ত নম্বর ১০৪। তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন।
বুধবার (৭ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন।
অয়নের প্রথম হওয়ার সংবাদে শিক্ষক, বন্ধু ও সহপাঠীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে অয়ন চক্রবর্তীকে অভিনন্দন জানানো হচ্ছে।
অয়নের বন্ধু রোবট উদ্ভাবক শুভ কর্মকার বলেন, ছোটবেলা থেকেই অয়ন প্রচণ্ড মেধাবী শিক্ষার্থী। ওর স্বপ্ন আইন বিষয়ে পড়াশোনা করার এবং ভবিষ্যতে আইনজীবী ও বিচারপতি হওয়ার। ওর সঙ্গে সম্পর্ক বন্ধু ও সহপাঠী হিসেবে হলেও দুজন ভাইয়ের মতোই চলেছি। আমার কাছে ওর অর্জন অনেক গর্বের।
অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক পার্থ সারথী শর্মা বলেন, যে যত মেধাবী, সে তত বিনয়ী হয়। এই কথার যথার্থ উদাহারণ আমাদের প্রিয় ছাত্র অয়ন চক্রবর্তী। ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এই সংবাদ একজন শিক্ষক হিসেবে আমাকে আনন্দিত করেছে।
তিনি বলেন, করোনাকালে অয়ন চক্রবর্তীদের ব্যাচ ঠিকমতো ক্লাসও করতে পারেনি। তবে যতদিন সুযোগ পেয়েছে একদিনও ক্লাস মিস করেনি অয়ন। ক্লাসের সবচেয়ে বেশি মনোযোগী এবং মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল অয়ন। ভবিষ্যতেও ওর মেধা ও সফলতার ধারা অব্যাহত থাকুক এই কামনা করি।
অয়ন চক্রবর্তী বলেন, আমার বাবা ও বড় ভাই আইনজীবী। আমি নিজেও আইনজীবী হতে চাই। বর্তমানে আইনজীবী পেশাই পছন্দ। সরকারি চাকরি করার আপতত ইচ্ছে নেই। আইনজীবী হলে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করতে চাই। আমার মনে হচ্ছে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করাটা এই সময়ে জরুরি।
অয়ন চক্রবর্তীর বাবা অ্যাডভোকেট সজল চক্রবর্তী ও মা পূর্ণিমা চক্রবর্তী। শহরের উপকণ্ঠ কাশিপুরের দিয়াপাড়ায় মূল বাড়ি হলেও বর্তমানে তারা থাকেন কালীবাড়ি রোডের বাড়িতে। বড় ভাই সৌরভ চক্রবর্তী আইনজীবী। অয়ন বরিশাল জিলা স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি ও অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতকার্য হন। এছাড়া অন্যান্য সৃজনশীল শাখায় বেশ কয়েকবার জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার পেয়েছেন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর