মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় নাবিহা, তৃতীয় তাহমিদুল

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন যথাক্রমে তাসনিয়া তৌফিক নাবিহা এবং তাহমিদুল আলম।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এই ফলাফল প্রকাশিত হয়।
ফলাফলে দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী তাসনিয়া তৌফিক নাবিহার রোল নম্বর ২৪০৬৮৯৯ এবং তার প্রাপ্ত নম্বর ১৯১। তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তাহমিদুল আলমের রোল নম্বর ১২০৯৩২৮ এবং তার প্রাপ্ত নম্বর ১৯০ দশমিক ৭৫।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সেরা তিনে থাকা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে নাবিহা ছিলেন সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার্থী। অর্থাৎ তিনি এর আগেও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। অন্যদিকে প্রথম ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দুই পরীক্ষার্থীই প্রথমবারের মতো মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন।
এদিকে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে এবার দেশসেরা হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম শান্ত এক শিক্ষার্থী। তিনি ঢাকার সরকারি বিজ্ঞান কলেজর ছাত্র এবং ৯১.২৫ নম্বর অর্জন করে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন। তার রোল নম্বর ২৪১৩৬৭১।
জানা গেছে, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় মোট পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন পরীক্ষার্থী, যা মোট আবেদনকারীর ৯৮ দশমিক ২১ শতাংশ। অনুপস্থিত ছিলেন ২ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এবং অনিয়মের দায়ে দুইজন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে একযোগে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন মাতুব্বর জানান, পরীক্ষায় ৯৮ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
চলতি শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে মোট আসন রয়েছে ১৩ হাজার ৫১টি। এর বিপরীতে আবেদন করেন ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন পরীক্ষার্থী। ফলে প্রতিটি আসনের বিপরীতে গড়ে নয়জনের বেশি পরীক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন, যা মেডিকেল শিক্ষায় প্রতিযোগিতার তীব্রতা আবারও তুলে ধরেছে।
টিআই/বিআরইউ