মা-ভাইয়ের মৃত্যুর ৫ দিন পর চলে গেল দেড় বছর বয়সী ইরফান

মা ও ভাইয়ের মৃত্যুর ৫ দিন পর দেড় বছর বয়সী শিশু ইরফান হোসেন আরাফাত মারা গেছে। শনিবার (১০ জুন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যু হয়।
আরাফাতের মামা আবু কায়সার ইমন বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল থেকে ৭ জুন চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। শনিবার রাতে আমার ভাগিনা মারা যায়।
এর আগে গত ৫ জুন সকালে সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নে চরডুব্বা গ্রামে স্বামীর গৃহে হাজেরা খাতুন মনির (২৭) গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে খাটে শোয়া অবস্থায় ছেলে ইমরান হোসেন ইয়ামিনের (৬) মরদেহ পাওয়া যায়। আর ১৩ মাস বয়সী অপর শিশুসন্তান ইরফান হোসেন আরাফাতকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর থেকে মনির স্বামী নুর আলম সোহেল (৩৪) পলাতক রয়েছেন। নিহত মনির মা জাহানারা বেগম দাবি করেন, যৌতুকের জন্য সোহেল এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। অন্যদিকে সোহেলের মা কমলা বেগম দাবি করেন, স্বামী-স্ত্রীর কলহের জেরে মনি নিজেই আত্মহত্যা করেছে।
সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ হোসেন জানান, ৬ জুন রাতে নিহত হাজেরা খাতুন মনির মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও একজনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন চরডুব্বা গ্রামের মৃত নুর নবীর ছেলে সাইফুল (৩৫), দিদার (২৮), চর লামছি গ্রামের সৈয়দুর রহমানের ছেলে মো. নুরুল আফসার (৪০), ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের সাড়াশিয়া গ্রামেরমৃত আবদুল ওহাবের ছেলে হানিফ(৩৮)। এদের মধ্যে এজাহারভুক্ত হচ্ছে পলাতক প্রধান আসামি মনির স্বামী নুরুল আলম সোহেলের দুই ভাই দিদার ও সাইফুল। অন্য দুজন হচ্ছেন সোহেলের বন্ধু আফসার ও ভগ্নিপতি হানিফ।
ওসি জানান, বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
আরকে