ঝড়ে উড়ে গেছে শ্রেণিকক্ষের চালা, খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান

গত ২৩ মে স্কুল ছুটির পর আচমকা কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে যায় যশোরের অভয়নগরের মথুরাপুর পুড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিনটি শ্রেণিকক্ষের টিনের চালা। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত কোনো সরকারি সহযোগিতা না পাওয়ায় রোদ-বৃষ্টির আতঙ্ক মাথায় নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসে পাঠদান করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন বরাদ্দ পেলেই মেরামত করা হবে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রেণিকক্ষের টিনের চালা। সরেজমিনে সোমবার (১২ জুন) সকালে উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর পুড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করছে। ৭ম ও ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আংশিক মেরামত করা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করছে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৩ মে মঙ্গলবার স্কুল ছুটির পর কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এসময় বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণিকক্ষের টিনের চালা উড়ে যায়। পরবর্তীতে স্কুলের তহবিল থেকে ৭ম ও ৮ম শ্রেণিকক্ষের টিনের চালা আংশিক মেরামত করা হয়। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৬ষ্ঠ শ্রেণিকক্ষের টিনের চালা মেরামতের জন্য স্কুল পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে গত ২৫ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়।

৮ম শ্রেণির সিনথিয়া আক্তার, ৭ম শ্রেণির মালতি রাণী ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির সিয়াম হোসেন বলে, প্রায় ২০ দিন ধরে আমরা খোলা আকাশের নিচে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে ক্লাস করছি। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী জানান, স্কুলের তহবিল থেকে ৭ম ও ৮ম শ্রেণিকক্ষের টিনের চালা আংশিক মেরামত করা হয়েছে। ৬ষ্ঠ শ্রেণিকক্ষের টিনের চালা মেরামতের অর্থ তহবিলে না থাকায় সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান, কোমলমতি শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে লেখাপড়া করছে। শ্রেণিকক্ষ মেরামতের জন্য গত ২৫ মে ৮টি টিন ও ৫০ হাজার টাকা অনুদান চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। এর কোনো কিছুই এখনও মেলেনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন জানান, বর্তমানে কোনো টিন না থাকায় জেলা প্রশাসকের নিকট বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া মাত্র মথুরাপুর পুড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সহযোগিতা করা হবে।
এ্যান্টনি দাস অপু/আরকে