সিলেটে লাঠি নিয়ে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে হরতালের সমর্থনে সিলেটে হেফাজতে ইসলাম বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শনিবার (২৭ মার্চ) আসরের নামাজের পর নেতাকর্মীরা হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে বিক্ষোভে নামেন। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
শনিবার বিকেল সোয়া পাঁচটায় বন্দরবাজারস্থ কালেক্টরেট মসজিদের সামনে থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে চৌহাট্টায় গিয়ে শেষ করেন। এরপর আবার কালেক্টরেট মসজিদের সামনে এসে জড়ো হয়ে অবস্থান নেন। পেছন থেকে জলকামান নিয়ে সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ।
তবে হেফাজতের কর্মসূচি ঘিরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য আসরের নামাজের ঘণ্টাখানেক আগ থেকে কালেক্টরেট মসজিদের আশপাশে পুলিশ, র্যাব, সিআরটি ও বিভিন্ন শাখার শতাধিক সদস্য সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।
এ ছাড়া শনিবার সকাল থেকে নগরের কোর্ট পয়েন্ট, বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, রিকাবিবাজার, সুবিদবাজার, আম্বরখানা, শাহি ঈদগাহ, টিলাগড়, শিবগঞ্জ, মিরাবাজার, উপশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মহড়া দিতে দেখা গেছে। গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এলাকায় বসানো হয় নিরাপত্তাচৌকি।

এর আগে শনিবার দুপুরে নয়াসড়ক এলাকায় জামায়াত-শিবিরের একটি দল মিছিল করে। সেখান থেকে জামায়াত-শিবিরের ১৪ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ মোজাইদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম (২২), নাজিম আহমদ রেজা (২৫), মাহবুবুর রহমান (২১), জাহিদুল ইসলাম (২৩), তাহের আহমদ (২২) হাফিজুর রহমান (২০) মোহাম্মদ আলী মুর্তজা (২৩) সাজারুল ইসলাম (২০), তোফায়েল আহমদ (২১) মিজানুর রহমান (২০), মোহাম্মদ সায়রুল হাসান (২৪) মোহাম্মদ জুয়েল আহমদ (২০), জুনেদ হোসেন ২২) ও সাইদুর রহমান (২২)।
এদিকে হেফাজতের হরতাল সামনে রেখে সিলেটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নগরে ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দিয়েছে জেলা প্রশাসন। একইভাবে জেলার সব উপজেলায় যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নির্দেশনা প্রদান করতে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (সাধারণ শাখা, কোভিড-১৯ সেল, মিডিয়া সেল) শাম্মা লাবিবা অর্ণব। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বুঝে যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তুহিন আহমদ/এনএ