ছাত্রীকে বিয়ে করা সেই শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মোলামগাড়িহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে বিয়ে করায় ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল করিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২০ জুন) বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জান্নাত আরা তিথি বুধবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ছাত্রীকে বিয়ে করা মোলামগাড়িহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ম্যানেজিং কমিটিকে বলা হয়েছে। কমিটি ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। একই সঙ্গে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি বিষয়টি তদন্ত করবেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন-বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মোফাখারুল ইসলাম চৌধুরী। অন্য দুই সদস্য হলেন, কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন ও অভিভাবক সদস্য আফজাল হোসেন। তারা সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
মোলামগাড়িহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাদ্দেক হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এক ছাত্রীকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছেন। ওই ছাত্রীদের বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ এলাকায়। কিন্তু তার বাবা মোলামগাড়ীতে একটি চাকরি করে। সেই সুবাদে তারা এখানে বসবাস করেন। বিয়ের বিষয়টি জানার পর গত ১২ জুন ম্যানেজিং কমিটির মিটিং ডেকে ওই শিক্ষককে স্কুলে আসা নিষিদ্ধ করে তার জবাব চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মেয়েটির বয়স ১৮ বছর পার হয়নি। ১৫ বছর ১০ মাস বয়স হয়েছে। এটি বাল্যবিয়ের মধ্যেও পড়ে। আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশে এটি উল্লেখ করেছি। ইউএনও স্যারের নির্দেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ জুন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট-এ "আগের স্ত্রীর সন্তান নেই, দশম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করলেন শিক্ষক" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। ওই সময় শিক্ষক আব্দুল করিম নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে করার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমার আগের স্ত্রীর সন্তান নেই। তাই পারিবারিকভাবে গত তিনমাস আগে (ছাত্রীকে) বিয়ে করি।
চম্পক কুমার/এমএএস