সুনামগঞ্জে শিক্ষার্থী খুন

সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অনিক চন্দ্র ব্রহ্মকে হত্যা করা হয়েছে। রোববার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
পুলিশ রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে ওই কিশোরের লাশ নির্মাণাধীন সুনামগঞ্জ কালেক্টরেট ভবনের নীচতলা থেকে উদ্ধার করে। এরপর সোমবার (২৯ মার্চ) সকালে খবর পেয়ে কিশোরের পরিবারের লোকজন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।
জানা যায়, ওই কিশোরের নাম অনিক চন্দ্র ব্রহ্ম। সে তাহিরপুর উপজেলার তেলিগাঁও গ্রামের প্রদীপ ব্রহ্ম ও অঞ্জনা রানী পালের ছেলে। অনিকের বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলছেন, তার মতো মেধাবী একজন শিক্ষার্থী এরকম মৃত্যু কষ্টদায়ক।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রোববার দুপুর ১টায় সুনামগঞ্জ শহরের পশ্চিম নতুনপাড়া এলাকার বাসা থেকে বের হয় শিক্ষার্থী অনিক। এরপর বিকেল পর্যন্ত সে বাসায় ফিরেনি। বাসার লোকজন অনিকের ফিরতে বিলম্ব হওয়ায় প্রথমে ভাবেন সে হয়তো দোল পূর্ণিমার কোনো আয়োজনে কোথাও গেছে। রাতেও না ফেরায় ভোর থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তারা।
সকাল ৬টায় খবর পাওয়া যায় পুলিশ রোববার বিকেলে এক তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে। পরে তারা হাসপাতালে গিয়ে অনিকের বিভৎস লাশ দেখেন।
অনিকের বাবা প্রদীপ ব্রহ্ম বলেন, আমি ৪ ছেলেকে পড়াশুনা করানোর জন্য শহরে এসে ভাড়া বাসায় থাকছি। আমার ছেলে শহরের অলিগলি- রাস্তাঘাট ভালো করে চিনে না। কারো সঙ্গে তার বা তার ছেলের কোনো বিরোধ নেই। কারা এমন নির্মম ঘটনাটি ঘটালো।
সুনামগঞ্জ সরকারি জুবীলি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফয়েজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনিক আমাদের স্কুলের খুবই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। কখনো কারো সঙ্গে খারাপ আচরণ করেনি।
সুনামগঞ্জ সদর থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুর রহমান বলেন, রোববারঅজ্ঞাত অবস্থায় এই কিশোরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। সোমবার তার পরিচয় মিলেছে। সে সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিষয়টির তদন্ত করছে পুলিশ।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানালেন, অনিকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
সাইদুর রহমান আসাদ/এমএসআর