দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে লাশ হয়ে ফিরলেন হুমায়ুন

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের পার্শ্ববর্তী শহর ব্রেক ফানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ফখরুল ইসলাম হুমায়ুনের (৬৫) গ্রামে শোকের ছায়া নেমেছে। সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে চাটখিল উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে তার মরদেহ পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০ বছর আগে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান ফখরুল ইসলাম হুমায়ুন। তিনি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব আবুতোরাব নগরের কাজী নূর উল্যাহর ছেলে। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তার স্ত্রীসহ দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
নিহতের ভাতিজা কাজী সৌরভ ঢাকা পোস্টকে বলেন, চাচা ২০০৪ সালে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। চাচার আকস্মিক মৃত্যুতে আমাদের পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এক নজর তার মরদেহ দেখার জন্য আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করেন। এমন মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছে না। চাচার বিদায়ে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বেলায়েত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমিয়েছিলেন হুমায়ুন। তার তিন সন্তান রয়েছে। তার দেশে আসার কথা ছিল কিন্তু ফিরল লাশ হয়ে। আজ নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেরিয়া চিশতিয়া লেনেসিয়ায় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুন বাসায় ঢুকে ফখরুল ইসলাম হুমায়ুনকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ জুন দুপুরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। রোববার (২ জুলাই) রাতে তার মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়।
হাসিব আল আমিন/এএএ