ইকোপার্কে নারী ধর্ষণ, কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ

বরগুনার তালতলীর টেংরাগিরি ইকোপার্কে নারী পর্যটককে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনার দুইদিন পার হলেও অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
তবে পুলিশ বলছে, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) ওই নারী পর্যটকের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেলে ভগ্নিপতির সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে টেংরাগিরি ইকোপার্কে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। এ ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ করে তালতলী থানায় মামলা করেন তিনি।
সোহাগ (২৫), রুবেল (২৮), মিজানুর (২৪) ও জাহিদুল (২৭) নামে চার যুবককে মামলার আসামি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) তাসকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
বরগুনা জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল বলেন, আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা দরকার। তা না হলে জেলার পর্যটন স্পটগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন ভ্রমণপিপাসুরা।
বরগুনা জেলা পর্যটন উদ্যোক্তা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি সোহেল হাফিজ বলেন, পর্যটনকেন্দ্রে ধর্ষণের ঘটনা বরগুনার পর্যটনখাতকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে। তাই টেংরাগিরি ইকোপার্কের ন্যক্কারজনক ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই।
জেলা পর্যটন উদ্যোক্তা উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফ রহমান বলেন, জেলার পর্যটন খাতকে শিল্পে রূপান্তরিত করার স্বপ্ন দেখি। কিন্তু বরগুনার প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্রেই বখাটেদের উৎপাত রয়েছে। ফলে পর্যটন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তালতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত শুধু আসামিদের নাম জানতে পেরেছি। পরিচয় জানতে পারিনি। শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সোর্সদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। খুব দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।
সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এএম/জেএস