পদ্মার বালুর ব্যবসা নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী মনা হত্যা : গ্রেপ্তার ৯

Dhaka Post Desk

জেলা প্রতিনিধি, পাবনা

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০৫ পিএম


পদ্মার বালুর ব্যবসা নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী মনা হত্যা : গ্রেপ্তার ৯

পদ্মা নদীর অবৈধ বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন পাবনার ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগ কর্মী তাফসির আহমেদ মনা। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। 

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি।

নিহত তাফসির আহমেদ উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর পাকারাস্তা মোড় এলাকার তাইজুর রহমান তুহিনের ছেলে। তিনি পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ঈশ্বরদীর নতুন রূপপুরের ইউনুস আলীর ছেলে মানিক (৩৬), সাহাপুর ইউনিয়নের দিয়ার সাহাপুর গ্রামের মুহিদুল হকের ছেলে ফসিউল আলম অনিক (২৭), নতুন রূপপুরের রূপপুরপাড়ার আতিয়ার রহমানের ছেলে  চমন (৩৮),  চর সাহাপুর গ্রামের আক্তার সরদারের ছেলে শাহিন সরদার (২৮), নতুন রূপপুরের আজিজ প্রামাণিকের ছেলে রাজিব (৩০), চররূপপুর পশ্চিমপাড়ার জহুরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩২), সলিমপুরের শাহজাহানের ছেলে আমজাদ হোসেন অবুঝ (৩৭), চররূপপুরের মনিরুল ইসলাম (৩৪) ও লক্ষ্মীকুন্ডার মাহফুজুর রহমান কালা (৩৫)।

পুলিশ সুপার বলেন,  নিহত মনা গত ১৭ জুন রাতে লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এমপি মার্কেটে ইকবালের অফিসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। রাত ১০টার দিকে তিনজন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকদের অ্যাপ্রোন ও হেলমেট পরে মোটরসাইকেলযোগে এসে মনাকে ৫-৬ রাউন্ড গুলি করেন এবং মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত পালিয়ে যান। নিহত ছাত্রলীগ কর্মী মনার মা নাহিদা আক্তার লিপি বাদী হয়ে  ঘটনার দুইদিন পর ঈশ্বরদী থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মূলহোতা অনিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । অনিকের দেওয়া তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা, গাজীপুর, কুষ্টিয়া এবং পাবনার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারী মানিকসহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানকালে জিগাতলা এলাকায় অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধানসহ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম এবং তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

আকবর আলী মুন্সি জানান, আসামিরদের সঙ্গে মনা পরিবারের দীর্ঘদিনের শত্রুতা রয়েছে। এছাড়াও চাঁদাবাজি এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ ছিল। বালু মহালের নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার হত্যার অন্যতম কারণ। আসামিদের মধ্যে অবুঝের বিরুদ্ধে ৫টি, কালার বিরুদ্ধে ৪টি, মানিকের বিরুদ্ধে ১১টি, চমনের বিরুদ্ধে ১০টি, অনিকের বিরুদ্ধে ৫টি, রাজিবের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাকিব হাসনাত/আরএআর

Link copied