সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, সমাজসেবা কর্মকর্তার বেতন বাড়বে না দুই বছর

সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠায় জয়পুরহাট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ইমাম হাসিমকে শাস্তি দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষর করা এক প্রজ্ঞাপনে শাস্তির বিষয়টি জানানো হলেও গতকাল সোমবার সাংবাদিকরা বিষয়টি জানতে পারেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জয়পুরহাট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ইমাম হাসিমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) এর বিধি অনুযায়ী, ‘অসদাচরণ’ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। এজন্য সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৪(২)(খ) অনুযায়ী ‘দুই বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিত’ লঘুদণ্ড’ প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, মো. ইমাম হাসিমের বিরুদ্ধে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার সাবেক কমান্ডার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনেন। এছাড়া ইমাম হাসিম বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা থাকার সময় বিভিন্ন ভাতার অর্থ কেন্দ্রীয় হিসাব থেকে সংরক্ষণের জন্য ‘বয়স্কভাতা আনুতোষিক’ শিরোনামে সোনালী ব্যাংক শেরপুর শাখায় হিসাব স্থানান্তর করেন। এছাড়া নীলফামারী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে থাকার সময় ‘বেদে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণে অনিয়ম করেন। তিনি হলরুম ভাড়ার জন্য বরাদ্দকৃত ২০ হাজার টাকা এবং প্রশিক্ষকের সম্মানী ভাতার ৫৮ হাজারসহ মোট ৭৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিধি বহির্ভূতভাবে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করে জয়পুরহাট সদর উপজেলার প্রবেশন কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান মণ্ডলের পরিবর্তে শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা শারমিন সুলতানাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদানের অভিযোগ ওঠে।
ওই কর্মকর্তার (মো. ইমাম হাসিম) বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও সুপারিশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. ইমাম হাসিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, চিঠিটা মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকলে বিষয়টা তারা জানবে। আপনার (সাংবাদিক) তো সমস্যা না, এই বলেই মোবাইল ফোন দেন।
চম্পক কুমার/এমজেইউ