কলেজছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ, কনস্টেবল গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ে বিয়ের প্রলোভনে এক কলেজছাত্রীকে (১৯) আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও শহর থেকে অভিযুক্ত কনস্টেবল আল-আমিনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আল-আমিন ঠাকুরগাঁও পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত ছিলেন। তিনি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ডাবরডাঙ্গা এলাকার তৈবুর রহমানের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কনস্টেবল আল-আমিন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীকে দুই মাস আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। গতকাল রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর শহরের হাজিপাড়া এলাকার হিরণ মেস থেকে তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে আল-আমিনের বন্ধু রবিউলকে (৩২) আটক করা হয়। রবিউল ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে টেলি মেডিসিন পদে চাকরি করতেন। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের আব্দুল কাশেমের ছেলে। এ ঘটনায় আজ বেলা ১১টার দিকে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, কনস্টেবল আল- আমিন ওই কলেজছাত্রীকে প্রথমে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে কক্সবাজার নিয়ে যান। সেখানে পাঁচদিন অবস্থান করে কলেজছাত্রীর সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করেন। কক্সবাজার থেকে এসে ওই কলেজছাত্রী জানতে পারের আল-আমিন বিবাহিত। তার একটি সন্তানও রয়েছে। কলেজছাত্রী বাসায় ফিরে যেতে চান। বার বার তাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আল-আমিন ও তার বন্ধু রবিউল তাকে আটকে রাখেন। দুই মাস বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে রেখে তাকে নির্যাতন করেন তারা।
ওই কলেজছাত্রীর বাবা বলেন, আল-আমিন ও রবিউল আমার মেয়েকে ফাঁদে ফেলেছে। তাদের পরামর্শে মাস তিনেক আগে হঠাৎ একদিন আমার বাসায় গচ্ছিত থাকা ৮ লাখ পঁচাত্তর হাজার টাকা নিয়ে আমার মেয়ে পালিয়ে যায়। আমার মেয়েকে কখনো রবিউলের বোনের বাসায়, কখনো মহিলা মেসে, কখনো বা কক্সবাজার নিয়ে গেছে তারা। প্রায় তিনটি মাস পর একটি মহিলা মেস থেকে পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করতে পেরেছি। আমি এই অন্যায় ও জুলুমের বিচার চাই।
ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, একটি মহিলা মেস থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই কনস্টেবল আল-আমিনকে গ্রেপ্তারে তৎপর হয় থানা পুলিশ। অবশেষে সন্ধ্যার দিকে শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরএআর