আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ কাটার অভিযোগ

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার দুর্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আম গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টুর বিরুদ্ধে।
ওই ঘটনায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকা মাসুদা খানম নলডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পরে শনিবার (৭ অক্টোবর) বিষয়টি জানাজানি হয়। এদিকে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে উপজেলার সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত আমজাদ হোসেন মন্টু নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের ২ নং ওর্য়াড সদস্য ও খাজুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক।
থানায় এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার দুর্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি আম গাছ ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টুর নির্দেশে কয়েকজন যুবক কেটে ফেলে। পরে ভ্যানে করে কেটে ফেলা আম গাছটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। এসময় এলাকাবাসী গাছ নিয়ে যেতে বাধা দেয় এবং বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানায়।
দুর্ভলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাসুদা খানম ওই রাতেই ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয় ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টু ও তার দুই সহযোগী আনোয়ার এবং শামীম জোর করে বিদ্যালয়ের আম গাছ কেটে তা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টু এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে চলাচলের জন্য সড়ক রয়েছে। এই সড়কে একটি আম গাছ থাকায় আমাদের ২নং ওর্য়াডের বাসিন্দারা ভ্যান, অটোরিকশাসহ সাধারণ মানুষের চলাচল করতে সমস্যা হয়। এ জন্য কয়েকজন অটোচালক গাছটি কেটে ফেলেছে। এখানে আমি কাউকে নির্দেশ দেয়নি।
দুর্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাসুদা খানম বলেন, আমি ওই দিন রাত ৮টার দিকে খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের এসে দেখি বিদ্যালয়ের একটি আম গাছ কেটে ফেলা রাখা হয়েছে। সেখানে গাছ কাটার করাত, কুড়াল পড়েছিল। পরে ইউএনও স্যার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্যারকে বিষয়টি জানালে তারা থানায় অভিযোগ দিতে বলেন।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, দুর্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আমাকে ফোন করে বলেন, আমরা দুই পক্ষ মিমাংসা করেছি। তাই এ ঘটনার বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
তবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সানাউল্লাহ বলেন, এ ঘটনা আপোস মিমাংসা করার সুযোগ নাই। গাছ কাটার বিষয়ে নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে প্রধান শিক্ষিকা। থানা পুলিশ তদন্ত ও করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান আকরামুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছে প্রধান শিক্ষিকা। থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
গোলাম রাব্বানী/আরকে