প্রেম করে বিয়ে, ১৫ দিন না যেতেই প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যা!
![প্রেম করে বিয়ে, ১৫ দিন না যেতেই প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যা!](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2023October/thana-20231017212655.jpg)
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাতে থানার ২২নং ওয়ার্ডের র্যালি আবাসিক এলাকার হুমায়ুন আজাদ মিয়ার পাঁচতলা ভবনের একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন বন্দর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক।
নিহতরা হলেন- পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ি এলাকার আবুল হোসেনের সৌদি ফেরত ছেলে কাওসার (৩২) ও তার স্ত্রী শরীয়তপুরের চর আন্দির চরচান্দের বাজার এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে ঝর্ণা আক্তার (১৮)।
দুজনের স্বজনরা জানান, কাওসারের আরও এক স্ত্রী রয়েছে। সেই সংসারে আট বছরের এক ছেলে আছে। কাওসার বিদেশে থাকা অবস্থায় ঝর্ণার সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় ঘটে। তখন থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। কাওসার নিজেকে অবিবাহিত হিসেবে ঝর্ণার কাছে উপস্থাপন করেন। সম্প্রতি দেশে আসার পর উভয়ের মধ্যে একাধিকবার সাক্ষাৎ হয়। বিষয়টি কাওসারের প্রথম স্ত্রীসহ ঝর্ণার পরিবারে জানাজানি হলে উভয় পরিবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি তুলে। এ নিয়ে কাওসারের প্রথম স্ত্রী মামলা দায়ের করলে কিছু দিন জেল খাটেন কাওসার। জেল থেকে বের হয়েও সকল বাধা উপেক্ষা করে কাওসার ঝর্ণার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক বজায় রাখে। প্রায় মাসখানেক আগে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ঝর্ণার পরিবারের পক্ষ থেকে কাওসারের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় কাওসার প্রায় ১৪ দিন জেল খেটে বের হলে ঝর্ণার পরিবারের সঙ্গে কাওসারের পরিবারের সমঝোতা হয় এবং সামাজিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
গতকাল সোমবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে ঝর্ণা ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যা করে। কাওসার দরজায় বারবার ধাক্কা দিলেও অপর প্রান্ত থেকে দরজা না খোলায় বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তিনিও পাশের রুমে থাকা ওড়না গলায় পেঁচিয়ে ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে বলে জানান বন্দর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক।
এমজেইউ