ছাত্রদলের মশাল মিছিল রুখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা

ফেনীতে বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে বাধা দিতে মহাসড়কে নিয়মিত মহড়া দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে এবার ছাত্রদলের মশাল মিছিল চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন ওসমান গনি লিটন (২৬) নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। তিনি ফেনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে শহরের বড় বাজার পানির ট্যাংকির সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রদলকে দায়ী করেছেন আহত ছাত্রলীগ নেতা।
জানা যায়, রাত পৌনে ৮টার দিকে অবরোধের সমর্থনে ফেনী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি মশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বড় মসজিদ এলাকায় পৌঁছালে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গুলি ছুড়লে ছাত্রদলের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি ছাত্রদলের।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ওসমান গনি লিটন এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন ছাত্রদলের অনেক নেতাকর্মী অস্ত্র নিয়ে প্রথমে ককটেল ছোড়ে। পরে গুলি করলে আমার চোখ, হাত ও পিঠে লাগে। ঘটনাস্থলে পড়ে গেলে আমার সতীর্থরা হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ফেনী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাছনাত তুষার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফেনীতে বিএনপি-জামায়াতের অপতৎপরতা রুখতে শহর ও মহাসড়কে ছাত্রলীগ নিয়মিত অবস্থান করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এদিন বড় মসজিদ এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছিল। এসময় ছাত্রদলের একটি মিছিল থেকে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াদ, যুগ্ম সম্পাদক শওকত আলী জুয়েল, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইব্রাহিম হোসেন ইবু, পায়েলসহ ছাত্রদল নেতারা অস্ত্র ও গুলি নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ওসমান গনি লিটন গুলিবিদ্ধ হয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন ঢাকা পোস্টকে বলেন, অবরোধের সমর্থনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ মশাল মিছিল নিয়ে বড় মসজিদ এলাকায় পৌঁছালে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ধাওয়া করে। তখন পুলিশ মিছিলে গুলি ছোড়ে। এসময় আমাদের ১০ জনের মতো নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ওই ছাত্রলীগ নেতাও পুলিশ ও নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফজলুল কবীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাত ৯টার দিকে তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার চোখ, হাত, পা ও কাঁধে একটি করে এবং পিঠে ২টি স্প্রিন্টারের আঘাত লাগে। বর্তমানে আহত ছাত্রলীগ নেতার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঘটনার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল না। কে বা কারা গোলাগুলি করেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তারেক চৌধুরী/আরকে