সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়ে ইজিবাইক চুরি করতেন তারা
![সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়ে ইজিবাইক চুরি করতেন তারা](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2023November/arrest-theft-20231129173427.jpg)
নীলফামারীর জলঢাকায় আন্তঃজেলা চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তিনটি চোরাই ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার রাজিব টোপামুধুপুর এলাকার আব্দুল আউয়ালের ছেলে সাজু আহমদ পায়েল (৩১), রংপুর মহানগরীর হাজিরহাট দক্ষিণ বিন্নাটারী এলাকার আব্দুস ছামাদের ছেলে মিজানুর রহমান বাবু (৪০) ও একই এলাকার মৃত নুর ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৫)।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম।
জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে জলঢাকা বাজারের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে একটি ইজিবাইক ভাড়া করেন চোর চক্রের সদস্যরা। পরে চালককে একটি হোটেলে ভাত খাওয়ানোর পর তাকে অজ্ঞান করে ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যান তারা। পরে ওই চালক জলঢাকা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে টানা ৮ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ইজিবাইক চোর চক্রের সক্রিয় চোর পায়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পায়েলের তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মুক্তারুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ইজিবাইক চুরিক কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশকে পায়েল জানান, তিনি সি.আই.ডি কর্মকর্তা ছদ্মনাম ধারণ এবং চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে ইজিবাইক চালকদের অজ্ঞান করতেন। পরে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইজিবাইক, অটোরিকশা চুরি করতেন। এভাবে তারা প্রায় ২০ থেকে ২৫টি ইজিবাইক ও অটোরিকশা চুরি করেন তারা।
ওসি আরও বলেন,পায়েলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানার ১৫ চুরি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে আরও ইজিবাইক উদ্ধার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
শরিফুল ইসলাম/এএএ