নাজমুল হক ও তার স্ত্রীর রয়েছে ২৫০ ভরি স্বর্ণ, আছে দুটি ফ্ল্যাট
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-২ (গাংনী) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ডা. এএসএম নাজমুল হক সাগর। প্রথমবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া ডা. এএসএম নাজমুল হক সাগরের বর্তমান পেশা ব্যবসা ও গৃহ সম্পত্তি ভাড়া।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. এএস এম নাজমুল হক সাগরের কৃষিখাত থেকে বার্ষিক আয় ১ লাখ ৮২ হাজার ২৮০ টাকা, বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে আয় ৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে বছরে আয় ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৩৩৩ টাকা এবং সঞ্চয়পত্র থেকে ২৫ হাজার ১১৪ টাকা।
হলফনামা অনুযায়ী তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার রয়েছে নগদ আছে ৫ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ১৫ লাখ টাকা, সেভিংস সার্টিফিকেটে আছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩১২ টাকা। ৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাড়ি, ১০০ ভরি স্বর্ণ ও ৬০ ভরি রুপা, ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ৫০ হাজার টাকা সমান মূল্যের আসবাবপত্র এবং বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত ১ কোটি ৪ লাখ টাকা।
অপরদিকে তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ৫ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা ১৭ লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ৫ লাখ টাকা সমমূল্যের একটি মোটর গাড়ি, ৫০ ভরি স্বর্ণ ও ৪০ ভরি রুপা, ২ লাখ টাকা সমমূল্যের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র।
নাজমুল হক সাগরের স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে, উত্তরাধিকার সূত্রের প্রাপ্ত সাড়ে ৩ একর কৃষি জমি, অকৃষি জমি রয়েছে ২৬ শতক। অর্জনকালীন যার মূল্য ছিল ৯৫ লাখ ২০ হাজার টাকা, একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে ৯৮ লাখ টাকা মূল্যের। অপরদিকে তার স্ত্রীর রয়েছে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত দুই বিঘা কৃষি জমি, ৩৫ লাখ টাকা সমমূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্ট।
জানা গেছে, গাংনী থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সভাপতি, প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য, গণপরিষদ সদস্য ও পরবর্তীতে সংসদ সদস্য নুরুল হকের ছেলে এএসএম নাজমুল হক। তার মেজ বোন সেলিনা পারভীন ২০১৪ সালে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।
১৯৯২-৯৩ সালে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখার দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৪-৯৫ সালে সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি হিসেবে ১৯৯৫-৯৭ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শাখার ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে তিনি ২৩তম বিসিএসের স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগদান করেন। তবে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে ২০২০ সালে সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন তিনি। চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যহতি নিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়ে মনোনয়ন প্রাপ্ত হয়েছেন। মনোনয়ন যাচাই-ব্ছাইয়ে তিনি বৈধ হিসেবে বিবেচিত হন।
আকতারুজ্জামান/আরকে