রমজান মাসে অনন্তর মহানুভবতা

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে হাটের ইজারা মওকুফ করে দিয়েছেন ওই হাটের ইজারাদার সাদ্দাম হোসেন অনন্ত। এমন ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া-সাতানি হাটে।
এর আগে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রামে ৭০ বছর বয়সী আছিয়া বেগমকে হজে পাঠিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন।
এ ছাড়া নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার শৈলাডহর গ্রামের প্রতিবন্ধী জাকির হোসেনকে একটি পাকা বাড়ি নির্মাণসহ গাজীপুরের শ্রীপুরে অসহায় দুস্থ মানুষকে থাকার ঘর নির্মাণ করে দিয়ে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
অনন্ত উপজেলার নগরহাওলা গ্রামের মৃত বেলাল উদ্দিনের সন্তান।
হাটের দোকানদার লাল মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, চার-পাঁচ বিঘার কৃষি পণ্য এ হাটসহ আশপাশে কয়েকটি হাটে বিক্রি করি। সপ্তাহে দুই দিন শনিবার ও মঙ্গলবার সাতানি-ধনুয়া হাটে প্রায় হাজারখানেক কৃষক তাদের পণ্য বিক্রি করতে আসেন। অন্য হাটের ইজারা রমজান মাসে দ্বিগুণ করা হয়, আর ধনুয়া হাটের ইজারা মওকুফ করা হয়েছে। ইজারাদারের এটা অবশ্যই একটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

এই হাটে কলা বিক্রি করেন শফিকুল ইসলাম। গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি ঘুরে গৃহস্থের কাছ থেকে কলা সংগ্রহ করে এনে বিক্রি করেন। সামান্য লাভ করা শফিকুল খুশি হয়ে বলেন, কলা বিক্রির সামান্য লাভ থেকে প্রতি হাটে ২০ থেকে ৩০ টাকা ইজারাতেই চলে যেত। লকডাউনে হাটে ক্রেতা নেই। তাই বেচাবিক্রি কম। রমজান মাসে ইজারা মওকুফ করায় এবার কিছুটা লাভ হবে।
ইজারাদার সাদ্দাম হোসেন অনন্ত ঢাকা পোস্টকে বলেন, কয়েক শ বছরের ঐতিহ্য রয়েছে এই হাটের। গ্রামের কৃষকরাই যেমন এই হাটের প্রাণ, তেমনই কৃষকই দেশের মূল চালিকাশক্তি। আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রি করতে আসেন এই হাটে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী লকডাউন থাকায় তারা পণ্যের সঠিক দাম পাচ্ছেন না। এতে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, কৃষকরা কৃষিকাজে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। কৃষকদের আস্থা ধরে রাখতে রমজান মাসজুড়ে হাটের ইজারা মওকুফ করা হয়েছে। আমার এই সামান্য উদ্যোগে যদি কৃষকরা উৎসাহী হন, তাহলেই আমি সার্থক হব।
এনএ