ফের মন্ত্রী হলেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী, এলাকায় বইছে খুশির আমেজ
দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) আসন থেকে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত আবুল হাসান মাহমুদ আলী নতুন মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। এতে নির্বাচনী এলাকায় বইছে খুশির আমেজ। দুই উপজেলার নেতাকর্মীরা করছেন আনন্দন মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ।
২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে নবগঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মাহমুদ আলী, ২০১৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগের নির্বাচনকালীন সরকারে মাহমুদ আলীকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ ফের সরকার গঠন করলে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নতুন মেয়াদে মন্ত্রিত্ব না পেলেও অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মাহমুদ আলী।
মাহমুদ আলীকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে পুনরায় মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ২০০৮ সাল থেকে টানা ৪ বার আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
মাহমুদ আলী ১৯৪৩ সালের ২ জুন দিনাজপুরের খানসামার ডাক্তার পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ১৯৬২ সালে বি.এ এবং ১৯৬৩ সালে এম.এ ডিগ্রি অর্জন করেন। এর তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ পর্যন্ত অর্থনীতির প্রভাষক ছিলেন।
চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সরকার ও খানসামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী লায়ন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা খানসামা ও চিরিরবন্দরবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি পুনরায় চিরিরবন্দর খানমাসার মাটি ও মানুষের নেতাকে তৃতীয়বারের মতো মন্ত্রী করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে।
নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে গোলযোগের কারণে একটি আসনের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে। বাকি ২৯৮টি আসনের ফলাফল প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ২২২ আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। বাকি ৬৫ আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন।
ইমরান আলী/এমএ