হাতিবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান, নিয়ে গেছে নথিপত্র
লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগের বিষয় খতিয়ে দেখেন দুদকের কর্মকর্তারা।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয় কুড়িগ্রামের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুদকের টিম অভিযানের বিষয়ে নির্দিষ্ট করে অভিযোগের কথা না বললেও জানা যায়, একজন ডা. অনুপস্থিত থাকা, মানসম্মত খাবার পরিবেশন, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে হাসপাতালের বিভিন্ন নথীপত্র নিয়ে যায় দুদকের টিম। পরবর্তীতে প্রতিবেদনের মাধ্যমে কমিশন বিস্তারিত প্রকাশ করবে বলে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ হাসানুল জাহিদ বলেন, গত বছরের মার্চ মাসের ১৫ তারিখে ডা. শাহানা হাতীবান্ধায় সপ্তাহে একদিন দায়িত্ব পালনের জন্য দাপ্তরিক আদেশ পান। এরপর গত মাসে দু’সপ্তাহের ছুটিতে ছিলেন অসুস্থতার কারণে। এ ব্যাপারে দুদক কর্মকর্তারা তার এবং অন্যান্য স্টাফদের দৈনিক হাজিরা বিষয়ক নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন।
দুদক কর্মকর্তারা উপস্থিত সাংবাদিকদের অভিযানের কারণ জানাতে না চাইলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছেন, ওই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশুরোগ বিষয়ক জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শাহানা আফরিনের বিরুদ্ধে নিয়মিত হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত না থাকার অভিযোগে দুদক এ অভিযান পরিচালনা করে। তবে ডা. শাহানা আফরিনের দাবি দাফতরিক আদেশেই তিনি সপ্তাহের শনিবার একদিন হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করছেন। সপ্তাহের বাকি পাঁচদিন তিনি লালমনিরহাট জেলা সদর হাসপাতালে উপস্থিত থেকেছেন।
এ বিষয়ে দুদকের সম্বনিত জেলা কার্যালয় কুড়িগ্রামের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদ বলেন, সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের বিষয়ে আমরা তদন্ত করতে এসেছি। তবে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছি, এগুলো আমরা কমিশনে পাঠাবো। আর হাজিরা খাতা দেখতে গেলে সেটির সার্ভার সমস্যা দেখা দিয়েছে। ডাক্তার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিয়ে কাগজপত্র ও হাজিরা খাতা সংগ্রহ করেছি। খাবারের তালিকাও নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে কমিশন। তবে আর কি অভিযোগ এখানে এসে তারা পেয়েছেন এসব অভিযোগের বিষয়ে দুদকের কর্মকর্তারা মুখ খোলেননি।
নিয়াজ আহমেদ সিপন/এমএএস