বারান্দায় পড়ে ছিল বৃদ্ধার মরদেহ
রাজবাড়ীর পাংশায় আশালতা দাস (৭৫) নামে এক বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা করে ঘরের বারান্দায় ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের প্রেমটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আশালতা দাস উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের প্রেমটিয়া গ্রামের মৃত সন্তোষ দাসের স্ত্রী।
জানা যায়, আশালতা দাসের দুই মেয়ে। তাদের অনেক আগেই বিয়ে হয়েছে। মেয়ে-জামাই, নাতি-নাতনি সবাই পাংশা শহরে থাকে।গ্রামের বাড়িতে একা বসবাস করতেন তিনি। পুরাতন বাড়িতে পুকুর, মাঠের জমি ছাড়াও বাগান রয়েছে। আশালতার দান করা জমিতে বিদ্যালয়, হাট বাজার হয়েছে। এসব দেখাশোনা করার জন্য লোক ছিল। সকালে বাড়ির গৃহকর্মী আশালতা দাসের মরদেহ ঘরের বারান্দায় পরে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
আশালতা দাসের প্রতিবেশী স্কুল শিক্ষক দিপক দাস জানান, বাড়িতে আশালতা দাস একা বসবাস করতেন দীর্ঘদিন ধরে। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির কাজের লোক গেটে গিয়ে ডাকলেও কোনো সাড়া পায়নি। পরে অন্য পাশ দিয়ে দেখেন বৃদ্ধার মরদেহ বারান্দায় পরে আছে। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অনেক কৃষি জমির মালিক আশালতা। তবে এলাকায় কারো সঙ্গে তার কোনো শত্রুতা ছিল না। এলাকার মধ্যে তাকে সবাই সম্মান করতো।
সরিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল আল বাহার বিশ্বাস বলেন, এলাকার মধ্যে এটি ঠাকরাইন বাড়ি হিসেবে পরিচিত। সেই বাড়ির মালিককে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে খুব মর্মান্তিক। প্রশাসনের কাছে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
পাংশা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বৃদ্ধার মরদেহকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। হত্যার রহস্য উৎঘাটনে মাঠে পুলিশের একাধিক সদস্য কাজ করছেন।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/আরকে
