মামুনুলের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবাকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওলিয়ার রহমানকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
ওলিয়ার রহমান গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি। তিনি সাবেক সেনাসদস্য।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক একেএম আহাদুল হাসান জানান, বুধবারের সভায় ওলিয়ার রহমানকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আমিনুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দলের কর্মকাণ্ড চালিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তিনি জানান, ওলিয়ার রহমানকে কেন দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে গত ১২ এপ্রিল কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সাত দিনের মধ্যে ওই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। ১৯ এপ্রিল ওই সাতদিন পার হয়। কোনো জবাব না দেওয়ায় বুধবার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাহী সভায় ওলিয়ারকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়।
গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোনায়েম খানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজা মিয়া, খান আমিরুল ইসলাম, আব্বাস উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
এ বিষয়ে গোপালপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওলিয়ার রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে তার স্ত্রী শিউলী বেগম বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য। ওলিয়ার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা। তাকে নিয়ে সন্দেহ করার কোনো সুযোগ নেই।
গত ৩ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক এক নারীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে যান। পরে সেখানে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। মামুনুল হকের দাবি করেন- তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে রিসোর্টে অবকাশ যাপনে গিয়েছিলেন। তাকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। হেফাজতের কর্মীরা নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ করেন। রয়েল রিসোর্টসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর করা হয়।
আরএআর
