ওষুধ কিনতে না পারা আ.লীগের সেই নারী কর্মী মারা গেছেন

টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে না পারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মী সুলতানা সাহা (৬৫) মারা গেছেন। রোববার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল হোসেন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সুলতানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের পাইকপাড়ার কিরণ চন্দ্র সাহার স্ত্রী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুলতানা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকার সময় দলের আন্দোলন-সংগ্রামে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। তার স্বামী সামান্য বেতনে একটি ফ্লাওয়ার মিলে অফিস সহায়কের পদে চাকরি করেন। সংসারে অভব-অনটন সব সময় লেগেই থাকত। একমাত্র ছেলেও মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কিরণ-সুলতানা দম্পতির কষ্টের শেষ ছিল না।
সুলতানা দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। সুলতানা ও তার পরিবারের দৈন্যদশার খবর কেউ না রাখলেও দলের নিবেদিত কর্মীর খোঁজ-খবর রাখতেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত।
গত ১৪ এপ্রিল বাড়ির আঙিনায় হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে কোমড়ের হাড় ভেঙে যায় সুলতানার। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ওষুধ কেনার সামর্থ্য ছিল না সুলতানার পরিবারের। পরে তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত ব্যক্তিগতভাবে তাকে সহায়তা করেন। চিকিৎসকরা সুলতানাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত বলেন, আমি সব সময় আমার সাধ্যমতো সুলতানা সাহার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ারও প্রস্তুতি চলছিল। তার মতো দলের জন্য নিবেদিত একজন নেত্রীর মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি।
আজিজুল সঞ্চয়/এসপি