ইউএনওর বিদায়ের আগের দিনে খোয়া গেল ল্যাপটপ, সিসি ক্যামেরা

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের ভেতরে ল্যাপটপ, সিসি ক্যামেরা, হার্ডডিস্ক চুরির ঘটনা ঘটেছে। ইউএনও তাহমিদা আক্তারের উপজেলায় শেষ কর্মদিবসের ঠিক আগের দিনে এমন চুরির খবরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এলাকায়।

খবর পেয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে শাজাহানপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এর আগে শনিবার দুপুরে চুরির বিষয়টি মোস্তা নামে উপজেলা অফিসের এক কর্মচারী টের পান। এর আগে কোনো এক সময় চুরির ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।  

পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার শাজাহানপুর উপজেলায় ইউএনওর শেষ কর্ম দিবস ছিল। বিদায়ের আগের দিন শনিবার দুপুরে অফিস কর্মচারী মোস্তা একটি কক্ষের দরজার তালা ভাঙা দেখতে পান। বিষয়টি ইউএনও তাহমিদা আক্তারকে জানালে তিনি এসে দেখেন ইউএনও, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও অফিস সহকারীর কক্ষ থেকে ৩টি কম্পিউটার হার্ডডিস্ক, ১টি ল্যাপটপ ও ২টি সিসি ক্যামেরাসহ হার্ডডিস্ক উধাও হয়ে গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি ইউএনও তাহমিদা আক্তারের বিরুদ্ধে মাটিকাটা বন্ধের একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠে। এ ছাড়া হাটের ইজারার টাকা বকেয়া রাখার বিনিময়ে ঘুষ নেওয়াসহ কর্মচারীদের বিল আটকে রাখার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।

এসব অভিযোগ-সমালোচনার মুখে শাজাহানপুর উপজেলা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় তাহমিদা আক্তারকে বদলি করা হয়। গত ৮ এপ্রিল রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মাঠ প্রশাসন শাখা থেকে সিনিয়র সহকারী কমিশনার প্রিয়াংকা দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বরে তাহমিদা আক্তার শাজাহানপুর উপজেলায় যোগদান করেছিলেন।

এই বদলির আগে তার কার্যালয়ে ল্যাপটপ, হার্ডডিস্কসহ সিসি ক্যামেরা খোয়া যাওয়ার ঘটনা ঘটে। চুরির ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সদ্য বদলি হওয়া ইউএনও তাহমিদা আক্তারের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু একটি অনুষ্ঠানে থাকায় তিনি কথা বলতে পারেননি। তবে পরে যোগাযোগ করতে চেয়েছেন তাহমিদা আক্তার।

চুরির বিষয়ে ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে অফিস বন্ধ করে যে যার মতো চলে যান। শনিবার দুপুরের দিকে অফিসে এসে চুরির বিষয়টি জানতে পারেন অফিস স্টাফ মোস্তা। তবে ইউএনও অফিসের মূল দরজা তালা লাগানো ছিল। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আর চুরির বিষয়টি নিবিড়ভাবে দেখা হবে।

আসাফ-উদ-দৌলা নিওন/এএএ