তীব্র গরমে ২০০ রিকশাচালককে ক্যাপ ও ছাতা দিলেন নারী ক্রিকেটার
সারা দেশের মতো অব্যাহত তাপপ্রবাহে কাহিল রংপুরের মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। তীব্র গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন রিকশা চালকরা। যার কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সঙ্গে কমছে প্রাত্যহিক আয়-রোজগারও। এমন পরিস্থিতিতে রিকশাচালকদের কষ্ট লাঘবে গরম সহনীয় ক্যাপ ও ছাতা বিতরণ করেছে উইমেন্স ড্রিমার ক্রিকেট একাডেমি অ্যান্ড হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর সংলগ্ন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ২ শতাধিক রিকশাচালকের মাঝে গরম সহনীয় ক্যাপ ও ছাতা বিতরণ করে ক্রিকেটার আরিফা জাহান বিথীর প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। এ সময় সংগঠনের সদস্যরা রিকশার সামনে লাঠি বেঁধে চালকের মাথার ওপর ছাতা ঝুলিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি চালকদের ক্যাপ পরিয়ে দেন।
এ কার্যক্রম প্রসঙ্গে আরিফা জাহান বিথী বলেন, আমরা যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। সেই ধারাবাহিকতায় ২০০ রিকশাচালকের মাঝে গরম সহনীয় ক্যাপ ও ছাতা বিতরণ করা হয়েছে। আমরা এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাই এগিয়ে আসলে যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। এ সময় সবাইকে গাছ লাগানোর জন্য আহ্বান জানান আরিফা জাহান বীথি।
বিথী তার উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। চাইলে এই কার্যক্রমে সামর্থ্য অনুযায়ী যে কেউ সহযোগিতা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া কেউ যদি পরিচয় গোপন রাখতে চান, তাও করা হবে। এই উদ্যোগে কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে বিকাশ ও নগদ করতে পারেন +৮৮০১৮৬৭৫৭৮২৩০ নম্বরে। এ ছাড়া রকেট নম্বরেও +৮৮০১৮৬৭৫৭৮২৩০৬ সহযোগিতা পাঠাতে পারেন।
প্রসঙ্গত, আরিফা জাহান বিথী ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে খেলেছেন। ঢাকার ওরিয়েন্ট স্পোর্টিং ক্লাব, কলাবাগান, রায়েরবাজার ক্রিকেট দলে ওপেনিং ব্যাট করতে নামতেন। ২০১৭ সালে অসুস্থতার কারণে চিকিৎসকের পরামর্শে ক্রিকেট ক্যারিয়ার বিসর্জন দিতে হয়েছে তাকে।
ঢাকা থেকে রংপুরে ফিরে ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে রংপুর জেলা স্টেডিয়ামে নারীদের জন্য উইমেন্স ড্রিমার ক্রিকেট একাডেমি নামে প্রশিক্ষণ একাডেমি গড়েন বিথী। সেখানে কয়েক শ নারীকে বিনামূল্যে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তিনি।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এএএ