খাল উদ্ধারে ২৬০০ কোটি টাকা চায় বরিশাল সিটি করপোরেশন

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, বরিশালে ৪৬টি খাল ছিল। এর মধ্যে আংশিক ও পুরোপুরি মিলিয়ে ৪১টি খালের অস্তিত্ব রয়েছে। যার মধ্যে ২৬টি খাল উদ্ধার, খনন, সংরক্ষণ ও শোভাবর্ধনের জন্য ২৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প পাস হলে খাল পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হবে।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) বরিশালে মাসব্যাপী খাল পরিচ্ছন্নতা অভিযানে গিয়ে এসব কথা বলেন মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে নগরীর খালগুলো পুনরুদ্ধার করা হবে। একটা মানুষকে কতবার কষ্ট দেওয়া যায়। সেই চিন্তা করেই খালখনন প্রকল্প পাসের আগে উচ্ছেদের কাজটি করতে চাচ্ছি না। উচ্ছেদ করার পর যদি সে জায়গা সংরক্ষণ না করতে পারি তাহলে আবার দখল হয়ে যাবে। এজন্য আপাতত খালগুলো পরিষ্কার করে পানির প্রবাহ ঠিক রাখার কাজটি করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া প্রকল্পগুলো পাস হলে খালখনন, সংরক্ষণ ও শোভাবর্ধনের কাজটি করা হবে।
সাদিক আব্দুল্লাহ জানান, গত বছর প্রচুর বৃষ্টিপাত এবং বন্যা হয়েছে। তখন নদীর জোয়ারের পানির স্তর এতটাই ওপরে উঠে আসে যে, বরিশাল নগর ও আশপাশের এলাকা তলিয়ে যায়। তলিয়ে যাওয়া জোয়ারের পানি নামতেও সময় লেগেছিল। কারণ খুঁজে বের করে এবার বর্ষার আগে নগরীর ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া খালগুলোতে মাসব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। যার ধারাবাহিকতায় নগরের চৌমাথা বাজার সংলগ্ন খালে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব খরচে খালগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, নগরের সব চেয়ে বেশি যে খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়; তার মধ্যে চৌমাথা বাজার সংলগ্ন এ খালটি অন্যতম। তাই এটির পরিচ্ছন্নতার কাজ আগে শুরু করা হলো। পর্যায়ক্রমে চেষ্টা চলবে, সব খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার। সেই সঙ্গে খালের মাঝে থাকা বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা যেগুলো পানির প্রবাহ নষ্ট করছে সেগুলো অপসারণ করা। আশা করি, এতে শতভাগ জলাবদ্ধতা নিরসন না হলেও বেশির ভাগ সমস্যার সমাধান হবে।
মেয়র আরও বলেন, জনগণের ক্ষতি না করে উন্নয়নকাজকে এগিয়ে নিতে হবে। আর ২-১ জনের জন্য জনগণের ভোগান্তি হতে দেওয়া যাবে না। খালগুলোর সীমানায় ওয়াকওয়ে, ফুটওভার ব্রিজ, সাইকেলিংওয়ে করার পরিকল্পনা রয়েছে।
খাল পরিচ্ছন্নতা অভিযানে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দারসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএম