শিশুরা শ্বাসকষ্টে ভুগছে গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ

দক্ষিণের সর্বশেষ জেলা সাতক্ষীরায় বইছে শীত। শীতের সঙ্গে শিশুদের শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। সাতক্ষীরা সদরের রসুলপুর এলাকায় জেলার একমাত্র শিশু হাসপাতাল। প্রতিদিন শতাধিক রোগাক্রান্ত শিশুকে নিয়ে স্বজনরা আসছেন হাসপাতালে। এর মধ্যে অধিকাংশ শিশু শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।
এদিকে চিকিৎসক-স্বল্পতা থাকায় শিশুদের চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তারা জানান, এ বছর বাচ্ছাদের অসুস্থ হওয়ার হার গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। বেশি আক্রান্ত শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায়।
গত বছরের তুলনায় এ বছর শিশুরা শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। প্রতিদিন বহির্বিভাগে শতাধিক শিশু রোগীকে দেখতে হচ্ছে। ছয়জন চিকিৎসকের স্থলে রয়েছেন চারজন। অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে রোগী দেখতে।
আবুল বাসার, মেডিকেল অফিসার
সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক শিশুর দাদা আব্দুর রহমান বলেন, সকাল ১০টায় টিকিট নিয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বসে আছি। এখনো চিকিৎসকের দেখা পাইনি। কখন দেখা মিলবে, সেটিও জানি না। এখানে এসে শুনছি, চিকিৎসক নেই। চিকিৎসক-সংকট। একজন চিকিৎসক শিশুদের দেখছেন। অনেক দূর থেকে এসে বাচ্ছাকে নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছি।
শিশু হাসপাতাল চত্বরে দেখা যায়, শতাধিক অভিভাবক তাদের অসুস্থ শিশুকে নিয়ে চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করছেন। এদিকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৩০ জন শিশু।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মো. আবুল বাসার আরমান ঢাকা পোস্টকে জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর শিশুরা শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। প্রতিদিন বহির্বিভাগে শতাধিক শিশু রোগীকে দেখতে হচ্ছে। ছয়জন চিকিৎসকের স্থলে রয়েছেন চারজন। অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে রোগী দেখতে।
তীব্র জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকায় এ পর্যন্ত তিনজন শিশুকে করোনা পরীক্ষার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রতিবেদনে কী এসেছে, সেটি আমাদের জানানো হয়নি। এ বছর বাচ্ছাদের অসুস্থ হওয়ার হার গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।
আবুল বাসার বলেন, অন্তর্বিভাগে সাধারণত পাঁচ-ছয়জন শিশু ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেয়। বর্তমানে ৩০ জনের বেশি শিশু ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে। চিকিৎসক-স্বল্পতা ও অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে চিকিৎসক-সংকট সমস্যা দূর হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।
এনএ