নাটোরে দেখা মিলল বিরল প্রজাতির বাগডাশের

নাটোরের বড়াইগ্রামে বিপন্ন প্রজাতির বাগডাশ পাওয়া গেছে। শনিবার (২ জানুয়ারি) সকালে এই প্রাণীটিকে উপজেলার চান্দাই এলাকার উত্তরপাড়া বিলে অবমুক্ত করা হয়েছে।
রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও স্বপ্নচূড়া ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী বলেন, শুক্রবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে বাগডাশটি চান্দাই গ্রামের মরহুম হোসেন মোল্লার বাড়িতে ঢুকে। এ সময় প্রাণীটিকে দেখে বাড়ির লোকজন মেছো বাঘ ভেবে ভয়ে চিৎকার করে। তাদের চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন প্রাণীটিকে ধরে একটি ঘরে আটকে রাখে। পরে বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শে শনিবার সকালে প্রাণীটিকে চান্দাই নদীপাড়ের জঙ্গলে অবমুক্ত করা হয়।
বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. উজ্জল কুমার কুন্ডু বলেন, বিপন্ন প্রজাতির ওই প্রাণীর নাম বাগডাশ। প্রাণীটি এখন দেশ থেকে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এ প্রাণী সাধারণত তিন থেকে পাঁচ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। লেজ বাদে শরীরের মাপ ৯০ থেকে ৯৩ সেন্টিমিটার। লেজের পরিমাপ ৩০ সেন্টিমিটার।
তিনি বলেন, বাগডাশের পশ্চাদ্দেশে বাড়তি একটা সুগন্ধি গ্রন্থি আছে। দুর্গন্ধি গ্রন্থিও আছে। এরা নিশাচর প্রাণী। এরা বাঁচে ১০ থেকে ১৫ বছর। নিজেরা গর্ত করে বাসা বানায় এবং সেখানেই বাচ্চা প্রসব করে। বাচ্চা জন্ম নেয় চোখ খোলা অবস্থায়। বাদামি শরীরে এদের ছাই ও হালকা হলুদাভ আভা থাকে। পিঠের ওপর ও দুই পাশে টানা পাঁচ-ছয়টি বাদামি কালো রেখা থাকে। শরীরের উভয় পাশে গোল গোল একই রঙের বুটি আঁকা থাকে। বয়সভেদে লেজে পাঁচ-সাতটি চওড়া বলয় থাকে। এদের কান থানকুনি পাতার মতো। চোখ দুটি সদ্য খোসা ছাড়ানো পাকা বৈচি ফলের মতো। ঘাড়ে দুটি ও গলায় তিনটি কালো রেখা আছে।
তিনি আরও বলেন, শৈশব-কৈশোরে প্রাণীটির সঙ্গে প্রায়ই দেখা হতো। কিন্তু আজ আর ওদের দেখা পাওয়া যায় না। প্রাণীটিকে আমার পরামর্শে উপজেলার চান্দাই এলাকার জঙ্গলে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এসপি