গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে বরিশালে প্রচারণা

গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারের কারণে শব্দ দূষণ এবং নিরাপত্তার ঝুঁকি সম্পর্কে নাগরিক সচেতনতা তৈরিতে বরিশালে র্যালি ও লিফলেট বিতরণ করেছে মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম। শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে নগরীর বান্দরোড অফিসার্স ক্লাবের সামনে থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। র্যালিটি লঞ্চঘাট সড়ক প্রদক্ষিণ করে যানবাহন চালক ও যাত্রীদের মাঝে রিফলেট বিতরণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
এই কর্মর্সচিতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটির (বিআরটিএ) পরিচালক জিয়াউর রহমান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, বিএনপির জেলা কমিটির সদস্য সচিব (দক্ষিণ) আবুল কালাম শাহীন, জাতীয় পার্টির জেলা আহ্বায়ক একেএম মুরতজা আবেদীন, মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক একেএম মোস্তফা, সদস্য হাফিজ আহমেদ বাবলুসহ বিভিন্ন সংগঠনের ইয়ুথ, ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
র্যালি পরবর্তী সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা হাইড্রোলিক হর্নের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরেন। এছাড়া ক্ষতিকর এই শব্দযন্ত্র ব্যবহার রোধে সকলকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানান।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক বেলাল হোসেন জানান, অতিমাত্রার শব্দের কারণে মানসিক ও শারীরিক সমস্যা হতে পারে। শব্দ দূষণের কারণে মানুষ বধিরতায় আক্রান্ত হন। ক্ষুধামন্দা, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, কাজে মনোযোগী হতে না পারা, কানের মধ্যে ভোঁ ভোঁ করাসহ হৃদরোগের সমস্যাও তৈরি হয়। বিকট শব্দের কারণে শিশুরা ভয় পেয়ে মানসিক সমস্যায় পড়তে পারে।
বাংলাদেশে হাইড্রোলিক হর্ন আইনত নিষিদ্ধ হলেও তা কার্যকর না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী ৬০ ডেসিবেল শব্দ অস্থায়ী বধিরতা ও ১০০ ডেসিবেল শ্রবণ প্রতিবন্ধী করে দিতে পারে।
উল্লেখ্য, বরিশাল নগরীতে শব্দ দূষণ নিয়ে ‘বরিশালে ভয়াবহ শব্দ দূষণ, সংরক্ষিত এলাকায়ও নিস্তার নেই’ শিরোনামে ৫ জুলাই সংবাদ প্রকাশ করে নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট ডটকম। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ৯১ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দের মাত্রা পাওয়া গেছে নগরীর কয়েকটি স্থানে। এছাড়া সরকার ঘোষিত নীরব এলাকায়ও নির্দেশনা না মেনে শব্দ দূষণ করা হয়। যা স্বাস্থের জন্য মারাত্মক ক্ষতির। একজন সুস্থ মানুষের শ্রবণ সীমা ৪০ ডেসিবেল।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর