মহিলা মাদ্রাসায় রাতে ২ যুবক, উধাও শিক্ষিকা-ছাত্রী

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের চরনান্দিনা হযরত ফাতেমাতুজ্জোহরা রা. মহিলা হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসা থেকে রাতে এক শিক্ষিকা ও ছাত্রী উধাও হয়ে গেছে। রোববার (০৩ জানুয়ারি) রাতের কোনও এক সময় এই ঘটনা ঘটে।
শুধু তাই নয়, রাতে আবাসিক এই মাদ্রাসায় লুকিয়ে ২ যুবক ঢুকেছিল বলে এলাকাবাসী ও মাদ্রাসার সুপার জানায়।
সোমবার (০৪ জানুয়ারি) সদরের বাগবাটি ইউনিয়নের চরনান্দিনা গ্রামের চরনান্দিনা হযরত ফাতেমাতুজ্জোহরা রা. মহিলা হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসায় গিয়ে সুপার মাওলানা রেজাউল করিম, সভাপতি আলাউদ্দিন সরকারসহ এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা হয়।
তারা জানায়, ওই মাদ্রাসার আবাসিক এক শিক্ষিকা ও ছাত্রী গভীর রাতে মাদ্রাসা থেকে উধাও হয়েছে। এর আগে রাত এগারোটার দিকে ২ যুবক মাদ্রাসায় প্রবেশ করে তাদের সঙ্গে দেখা করে। পরে মাদ্রাসার অন্য মেয়েরা তাদের একসঙ্গে দেখে ফেলে লোকজন ডাকাডাকি করলে এলাকাবাসী আসলে ছেলে দুটি কৌশলে পালিয়ে যায়।
তবে আবাসিক মাদ্রাসায় কীভাবে রাতে যুবকরা ঢুকতে পারে ও মাদ্রাসার সুপার উপস্থিত থাকার পরেও মেয়ে দুটি উধাও হয়ে গেলো— এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানান রকম গুঞ্জন ও সমালোচনা।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, রাত ১১টার দিকে সভাপতি আমাকে ফোন করে জানান মাদ্রাসায় দুটি ছেলে ঢুকেছিল। পরবর্তীতে আমি মাদ্রাসায় আসি ও মাদ্রাসাতেই রাত্রিযাপন করি। ফজরের নামাজের আগে মেয়ে দুটি আমাকে বলে বাথরুমে যাবে। কিন্তু সকালে ঘুম উঠে দেখি মেয়ে দুটি নেই।
মাদ্রাসার সভাপতি মো. আলাউদ্দিন সরকারও সুপারের সঙ্গে সুর মিলিয়ে শিক্ষিকা-ছাত্রীর উধাওয়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তাদের অভিভাবকদের বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু প্রশাসনকে জানানো হয়নি।
বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি শুনলাম। নিখোঁজ ছাত্রীর বাবা আমাকে ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি তাকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। বিষয়টি থানা পুলিশকেও অবগত করেছি।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বলেন, বিষয়টি আমি এখনও অবগত নই বা কোনও অভিযোগও আসেনি। জিডি দায়ের পূর্বক তদন্ত করে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএসআর