যশোর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

যশোর মাদক নিরাময় কেন্দ্রে মাহফুজুর রহমান (২০) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুর আগে ওই যুবককে মারধরের একটি সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
নিহত মাহফুজুর রহমান চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকার মনিরুজ্জামানের ছেলে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগ উঠেছে, শনিবার (২২ মে) ওই যুবকের মৃত্যুর পর তার মরদেহ নিরাময় কেন্দ্রের সদস্যরা যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেখে চলে যান। এরপর পরিবারের লোকজন রোববার (২২ মে) হাসপাতালে এসে দুপুরে হত্যার অভিযোগ তোলেন।
নিহত মাহফুজুরের চাচা সাইদুর রহমান বলেন, আমার ভাতিজা মাহফুজ একজন মাদকসেবী। তাকে গেল ২৬ এপ্রিল যশোর মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। শনিবার বিকেলে খবর পাই তাকে ওই প্রতিষ্ঠানের লোকজন মারপিট করে হত্যা করে লাশ অজ্ঞাত হিসেবে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে চলে যায়। আমরা পরিবারের লোকজন এসে মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাই।
এ ব্যাপারে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানান, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায় এবং সিসিটিভি ফুটেজও পাওয়া যায়। এরপর রাতেই পুলিশের পৃথক কয়েকটি টিম অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মাসুম করিম ও আশরাফুল কবিরকে আটক করে।
এ ছাড়া এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেজাউল করিম, ওহেদুজ্জামান, ওহিদুল ইসলাম, আল শাহরিয়া, শাহিনুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, শরিফুল ইসলাম, এএসএম সাগর আলী, অহেদুজ্জামান সাগর, নুর ইসলাম, রিয়াদ ও আরিফুজ্জামানকে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জাহিদ হাসান/এনএ