নারীকে হত্যা করে চোখ উপড়ে ফেলে যায় প্রেমিক

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নলিচাপাড়া এলাকার একটি কলাবাগান থেকে উদ্ধার হওয়া চোখ উপড়ানো নারীর পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত নারীর প্রেমিক মো. সোহেল রানাকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর থানা চত্বরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাজরান রউফ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, নিহত নারীর নাম মোছা. মরিয়ম বেগম (৪৮)। তিনি সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।
গ্রেপ্তার হওয়া সোহেল রানা সদর উপজেলার গুনেরগাঁতী গ্রামের মো. আসাদুল্লাহর ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, মরিয়ম বেগম দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। প্রায় দুই থেকে তিন বছর আগে তার সঙ্গে সোহেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সোহেল বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। তবে মরিয়ম সময় নিতে চাইলে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, গত ৫ ডিসেম্বর মরিয়ম ও সোহেল কাশিয়াহাটা এলাকায় দেখা করেন। সেখানে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সোহেল মরিয়মকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে মরদেহ পাশের কলাবাগানের একটি ড্রেনে ফেলে রেখে তিনি পালিয়ে যান।
ঘটনার পর তথ্যপ্রযুক্তি ও বিভিন্ন সূত্রের সহায়তায় প্রায় আট ঘণ্টার মধ্যে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আহসানুজ্জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দারা আবাদি জমির পাশে একটি কলাবাগানে চোখ উপড়ানো নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
নাজমুল হাসান/এআরবি